সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষে নিহত তাপস পালের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক গ্রামে তার নিজ বাড়িতে সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববদ্যালয়ের শাহজালাল হলের সামনে বগিভিত্তিক গ্র“প ‘ভিএক্স’ ও ‘সিএসপি’ গ্র“পের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম তাপস পাল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী চবি ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ‘ভিএক্স’ ও ‘সিএসপি’ দুই গ্র“পের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মূলত দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধের মাঝেও ক্যাম্পাসে সহঅবস্থান নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উভয়পক্ষ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চবি শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। সেখানে সেই পুরানো আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে কথাকাটি হয়। এসময় গোলাগুলিতে সিএসপি গ্র“পের তাপস পাল ও রিমন নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হন এবং আহত হয় অন্তত আরো ৫-৬ জন। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রিমন ও তাপসকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাপসকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চবি ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তা দ্রুত নিরসন করতে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রয়োজনে এই ধরনের ছাত্রলীগ না রাখার পক্ষের মত দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে মহিউদ্দিনের বাসায় পুলিশ, চবি প্রশাসন ও চবি ছাত্রলীগের নেতাদের উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা বৈঠক হয়। সেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিলেও কয়েক দিনের মধ্যে এ সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।