স্টাফ রিপোর্টার :
গোল্ডেন লাইফ ইনসিওরেন্সের নগরীর চৌহাট্টা শাখা অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বীমা গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জমাকৃত টাকা ফেরত ও প্রতারণায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে ভুক্তভোগীরা গতকাল রবিবার অফিস ঘেরাওসহ ঢাকা থেকে আসা কোম্পানীর প্রতিনিধি দলকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে এক সপ্তাহের সময় চেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুশান্ত কুমার প্রামাণিক। এর আগে বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট দফতরে জরুরি প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন গ্রাহকরা।
আন্দোলনরত গ্রাহক ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০০২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে ওই বীমা কোম্পানির চৌহাট্টা শাখায় কর্মরত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রিমিয়ামের টাকা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় অফিসে জমা না দিয়ে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। বিষয়টি দীর্ঘদিন পর গ্রাহকেরা জানতে পেরে তাদের প্রিমিয়ামের টাকা ফেরত চান। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের সাথে অফিসের কর্মকর্তারা বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। প্রায়ই তারা গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমতাবস্থায় লাভের আশায় বীমা করে গ্রাহকেরা পড়েন চরম বিপাকে। ফলে তাদের মাঝে বাড়তে থাকে চাপা ক্ষোভ। গতকাল রবিবার বিষয়টি সুরাহাকল্পে গ্রাহকদের সাথে বৈঠকে বসার কথা ছিল কোম্পানীর কর্মকর্তাদের। এজন্য ঢাকা থেকে কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল সিলেটে আসেন। বেলা ১২টার দিকে তারা শাখা অফিসে গেলে সংক্ষুব্ধ গ্রাহকরা অফিস ঘেরাও করেন। এ সময় এক উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রাহক জানান, এই বীমা অফিসের কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ চয়ন তাদের বিভিন্ন লোভনীয় অফার ও প্রলোভন দিয়ে বীমায় আকৃষ্ট করে প্রতারণা করে তাদের প্রিমিয়ামের কিস্তির টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়। তারা আরো জানান, এই অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা কৌশলে বীমাকৃত টাকা আত্মসাৎ করায় তারা টাকা ফেরত পেতে বিভিন্ন দফতরে ধর্না দিতে দিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জানান, ম্যানেজমেন্ট ক্রাইসিসের কারণে সময়মত বীমাকৃত ফাইলগুলো জমা পড়েনি। এজন্য ডেলিভারী দেওয়া যাচ্ছে না। তবে আগামী ৩ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সকল অফিসের এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই শাখার গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করা হবে।