সুরমা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটেবাড়ী, স্কুল, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট সহ ফসলি জমিন হারিয়ে অসহায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে শতাধিক জকিগঞ্জ উপজেলার পরিবার। মাথা গুজার শেষ সম্বলটুকু পৈতৃক সম্পত্তি ভিটেবাড়ি বসতঘর ও গাছগাছালি, কবরস্থান, বিদ্যুতের লাইন সবকিছু হারিয়ে অসহায় ভূমিহীনে পরিণত হয়ে ভাঙ্গন কবলিত মানুষগুলো আশ্রয় খুঁজতে প্রতিনিয়ত অন্যত্র এলাকায় ঘুরছেন। স্কুল ও মাদ্রাসায় যাতায়াতের রাস্তাও হারিয়ে দুর্ভোগের শিকার এলাকার কয়েকশ শিক্ষার্থীরা। সময়ের বিবর্তনে ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ঐ এলাকার পরিবেশ। এলাকার বসত ঘরের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ছে শরীফাবাদ আরজানিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও পরচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থীরা। আর এই ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেতে অর্তনাদ করছেন আরো তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। দেশের দীর্ঘতম ঐতিহ্যবাহী সিলেটের সুরমা নদীর ভয়ংকর এই আক্রমণের শিকার হয়ে শিশু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আত্মরক্ষা ও মাথা গুজারমত একটু জায়গা খুঁজে বেড়াচ্ছেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ১নং বারহাল ইউনিয়নের বারাকুলী গ্রাম সহ আশ পাশের বোরহানপুর ও কোনাগ্রামের সহস্রাধিক বাসিন্দাগণ। সুরমার দু’তীর ঘেঁষে যুগযুগ ধরে বসবাস করে আসছেন কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণ। নদীর এই ভয়ংকর ভাঙ্গনের কবেলে পড়ে হারাচ্ছে মানচিত্রের মূল নকশাও। এলাকাবাসীর অনুরোধে সাবেক সংসদ হাফিজ আহমদ মজুরদার কয়েকবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং আশ্বস্ত করেছিলেন কিন্তু কোন ফল আসেনি। স্থানীয়রা জানান বর্তমান সংসদ সেলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ টুকুও করতে পারছেন না। এমন কি পানি উন্নায়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এর নজরে ও আসেনি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা। সিলেটস্থ জকিগঞ্জ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সাংবাদিক জেড এম শামসুল, সমাজসেবী আব্দুল কুদ্দুস, বিলাল হোসেন হিরু সহ উপস্থিত জনতা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙ্গন প্রতিরোধের জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। (খবর সংবাদদাতার)