কলেজছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে ॥ বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি

35

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রীকে বখােেটদের হাতথেকে বাঁচাতে পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গত রবিবার রাতে ওই ছাত্রীর মামা আনু মিয়া স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজাসহ ৩জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনার নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হচ্ছে, উপজেলার আলাপুর গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়ার ভাতিজা আয়না মিয়া ও দাউদপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে রুহেল আহমদ এবং মৃত আবদুল জলিলের ছেলে সাইদুল ইসলাম। সিলেটের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা লিখিত (অভিযোগ) স্মারকলিপি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
তবে এ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে অভিযুক্ত আয়না মিয়া বলেন, ওই কলেজ ছাত্রীকে তিনি চিনেনইনা। তাকে ফাঁসাতে একটি চক্র মিথ্যা এ স্মারকলিপি দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে গেছে, বাড়ি থেকে বের হয়ে কলেজে যাওয়ার পথে ওই কলেজছাত্রীকে প্রতিদিন রাস্তায় অভিযুক্তরা উত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন। কিন্তু এতে অভিযুক্তরা এলাকাবাসীর ডাকে সাড়া দেয়নি। স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা মাদকদ্রব্য সেবনে করে রাতের বেলায় এলাকায় ঘুরাফেরা করে। আনু মিয়ার কলেজ পড়–য়া ভাগনীকে অপহরণ এমনকি তাকে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দিয়েছে ওই অভিযুক্তরা।