নগরীর শাহী ঈদগাহে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নামে বিতর্কিত ও একাধিক ওয়ারেন্ট মামলার আসামী কর্তৃক মেলা আয়োজনের জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। মেলার আয়োজকরা আসন্ন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক পরীক্ষার সময় এ এলাকায় মেলা আয়োজনের ফলে সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে শাহী ঈদগাহ এলাকায় সিলেটের স্বনামধন্য কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেলার বিরূপ প্রভাব প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বেশি প্রভাবিত করবে। ইতিমধ্যে মেলার আয়োজক কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে সিলেটের সম্মানিত জনপ্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা প্রশাসক ও সর্বোপরি সিলেটের সকল ব্যবসায়ী মহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। অথচ সিলেট চেম্বার যেখানে বার বার দ্বন্দ্বের কারণে বর্তমানে প্রশাসকের হাতে ক্ষমতা। সেখানে মেট্রোপলিন চেম্বারের মেলা আয়োজন সত্যিই কৌতুহলের বিষয়। আর মেলার আয়োজন মানেই শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সক্রিয় হস্তক্ষেপ। আসন্ন মেলাকে ঘিরেও সেই বিতর্কের শেষ নেই।
মেলার আয়োজকদের মধ্যে সিলেট নগরীর পীর মহল্লার বাসিন্দা নিবাসী মইন খান বাবলু ইতিপূর্বে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মেলার নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যিনি মেলা বাবলু নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে মেলা আয়োজনেরও অভিযোগ রয়েছে। তার কালো থাবা থেকে রক্ষা পায়নি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ। উক্ত চেম্বারের এককালীন সদস্য বাবলু চেম্বার কর্তৃক দায়েরকৃত ৩টি মামলার আসামী। তার অপকর্মের কারণে গত বছর বিজিবি মাঠে মেলা চলাকালীন সময়ে জুন্নুন মাহমুদ খানের দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার জনবিরোধী কার্যকলাপের কারণে সিলেট চেম্বার থেকে বহিষ্কৃত হয়ে নিজের একার পক্ষে মেলার আয়োজন সম্ভব নয় বিধায় সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের আশ্রয় নিয়ে আসন্ন বাণিজ্যমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে সহিদুল ইসলাম খান পিন্টু ও সৈয়দ আলতাবুর রহমান। আসন্ন মেলার মূল আয়োজক সিলেট মেট্টোপলিটন চেম্বার হলেও ব্র“শিয়ারে উক্ত সিন্ডিকেটের নাম রয়েছে। যা দ্বারা আয়োজকরা স্টল বুকিং নিচ্ছেন। মুসলিম জামদানি নাম দিয়ে সদস্য ভুক্ত হয়ে নিজের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারকে পুঁজি করে তার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বাবলু গংরা। ৫ বছরের টিন সার্টিফিকেট বিহীন মইন খান বাবলু কিভাবে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সদস্য হয় তা জানতে রয়েছে সচেতন মহলের আগ্রহ।
মেলা সূত্রে জানা গেছে আসন্ন মেলায় মোট স্টল সংখ্যা থাকবে ১৬০টি এবং মেগা প্যাভিলিয়ান ৪টি, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৪টি, স্ট্যান্ডার্ড প্যাভিলিয়ন ৩টি, ফরেন জোন ৩টি, টেক্সটাইল জোন ৪টি, রিয়েল এস্টেট ও আইটি টেলিকম জোন ছাড়াও থাকবে ট্যুরিজম সেন্টার এবং সিলেটের স্থানীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোগক্তা এবং মহিলা উদ্যোগক্তাদের জন্য রেয়াতি মূল্যে কিছু স্টল। এসব কিছুর মূলেই রয়েছে চিহ্নিত ও আলোচিত মইনখান বাবলুর অপতৎপরতা। আসন্ন মেলাকে ঘিরে তার এই তৎপরতা বন্ধে সিলেটের সচেতন মহল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। পাশাপাশি মেলার অন্যতম আয়োজক বাবলুর সমস্ত বিষয়াদি সঠিক অনুসন্ধান ও যাচাই-বাছাইয়ের দাবী জানিয়েছেন।
মেলা আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য হুরায়রা ইফতার হোসেন জানান, মেলা সফলের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় সঠিক সময়ে এর উদ্বোধন করবেন। তবে ব্র“শিয়ারে মইন খান বাবলুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেলার মূল আয়োজক সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স, ব্র“শিয়ারে যে কোন সদস্যের নাম থাকতে পারে। (খবর সংবাদদাতার)