সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্ত গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় আরো হযরত আলী (৪৫) নামের এক শ্রমিককে আটক করেছিল বিএসএফ। কিন্তু আটকের ৬ ঘণ্টা পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই শ্রমিককে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এরপর বিকাল ৪টা মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে টেকেরঘাট ক্যাম্পের বিজিবি। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো গতকাল শুক্রবার সকালে চাঁরাগাঁও সীমান্তের ১১৯৭ পিলার সংলগ্ন লালঘাট এলাকা দিয়ে লালঘাট গ্রামের মঞ্জিল মিয়া, জয়নাল মিয়া, ঝানু মিয়া, আব্দুল হাইর নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫জন শ্রমিক চোরাইপথে ভারত থেকে কয়লা আনতে যায়। এ সময় বিএসএফ তাড়া করে শ্রমিক হযরত আলীকে আটক করে। আর অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। শ্রমিক হযরত আলী লাকমা গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার একইভাবে কয়লা চুরির ঘটনায় উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের শহিদ মিয়া (২৩), আমিনুল ইসলাম (২০), লিটন মিয়া (১৮), দিন ইসলাম (১৬), শহিদ উল্লা (১৯)কে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলবার একই সীমান্তের বাঁশতলা এলাকা দিয়ে কয়লা পাচার করার সময় চোরাই কয়লার গুহায় চাপা পড়ে চাঁরাগাঁয়ের মনা মিয়া (২৮) নামের এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের প্রত্যক্ষ মদদে ওই সীমান্তে চোরাচালান ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। টেকেরঘাট ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আব্দুর রউফ জানান, আটককৃত শ্রমিক হযরত আলীকে ফেরত পাওয়ার পর মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করলে গতকাল শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ওই শ্রমিককে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, সুুনামগঞ্জ ৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসারের কড়া নজরদারির কারণে ক্ষণিকের জন্য চোরাচালান বন্ধ হলেও স্থানীয় চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের প্রত্যক্ষ মদদে গত সপ্তাহখানে যাবত চাঁরাগাঁও সীমান্তে চোরাচালানীরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।