হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জে চাঁদা দাবিসহ নির্যাতনের অভিযোগে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক এএনএএ মোছাব্বির, ডিএডি মোঃ ছানিউল ইসলাম, পিসি তাহের, এবি ফারুক, এনএবি কামালসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর সুলতানশী গ্রামের মোঃ শাহ আলম বাদি হয়ে দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক, বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আমজাদ আলী, ইউপি মেম্বার মোঃ মাহমুদ হাসানসহ স্থানীয় মুরুব্বীদের।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পবিত্র আশুরা’র দিন তাজিয়া মিছিল শেষে তার ভাগ্নে ওই গ্রামের দ্বীন ইসলামকে (২৫) আসামীরা চোখ বেঁধে র্যাবের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। অথচ তার বিরুদ্ধে কোন মামলা মোকদ্দমা নেই। র্যাব সদস্যরা তাকে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটক রেখে অমানষিক নির্যাতন করে। ৩/৪ ঘন্টা পর তাকে সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দিয়ে মামলা দায়ের করে থানায় সোপর্দ করে। ভাগ্নের বরাত দিয়ে তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, র্যাব সদস্যরা তাকে গাড়িতে তুলে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তা দিতে অস্বীকার করায় তাকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে অমানষিক নির্যাতন করেছে। মামলার আইনজীবী নিলাদ্রী শেখর পুরকাস্থ টিটু জানান, কদিয়াদি বাজারে দ্বীন ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে র্যাব সদস্যরা জোরপূর্বক আটক করে বেধড়ক মারপিট করে এবং গাড়িতে করে নিয়ে ৩/৪ ঘন্টা অজ্ঞাত স্থানে রাখে। এ অবস্থায় তার নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালে দিয়ে সদর থানায় নিয়ে যায়। তার মামা শাহ আলম বাদি হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বাদি সাংবাদিকদের জানান, হাজার হাজার মানুষের সামনে তার ভাগ্নেকে মারধোর করেছে র্যাব। এরপর গাড়িতে উঠায়। পরে ৩/৪ ঘন্টা নির্যাতন করে। আমি এখন জজ কোর্টে বিচার প্রার্থী হয়েছি। আসামীদের মধ্যে ৫ জনের নাম আমি জানি। বাকিদের নাম জানিনা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তাজিয়া মিছিল শেষে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় র্যাব দ্বীন ইসলামকে আটক করে। র্যাবের অভিযোগ সে আইনী কাজে বাধা দিয়েছিল। অপরদিকে, বুধবার দুপুরে র্যাবের নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও স্মারকলিপি প্রদান করে কেন্দ্রীয় মহররম উদযাপন কমিটি।