সিলেটে হাই-টেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাই-টেক পার্কে ওয়ানস্টপ সার্ভিস অচিরেই চালু হবে

1

সিলেট হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও প্রদত্ত প্রণোদনা সুবিধা বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা বৃহস্পতিবার চেম্বার কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. আমিরুল ইসলাম এনডিসি। সিলেট চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ এস এম কাসেম।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই-টেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সিলেট অঞ্চল সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসী আধিক্য এবং প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই আমি সিলেট চেম্বারের সাথে মতবিনিময়ের পরিকল্পনা করি। এখানকার বিনিয়োগকারীদের সমস্যাবলী জানতে ও তা নিরসনে সিলেট হাই-টেক পার্কে বর্তমানে একজন উপ-পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে, আগামীতে এখানে একজন পরিচালক পদবীর কর্মকর্তা নিয়োগের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীদের ওয়ানস্টপ সার্ভিস পেতে সুবিধা হয়। হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের হেড অফিসে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু আছে, কিন্তু সারা দেশব্যাপী এখনও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের প্রচারণা ও তদারকীর অভাব রয়েছে এটি সত্যি তবে সম্প্রতি আমরা নতুন ১০৩ জন কর্মকর্তা নিয়োগের অনুমোদন লাভ করেছি। আশা করি আগামীতে আমরা বিনিয়োগকারীদের সমস্যাবলী সমাধানে আরো গতিশীলতার সাথে কাজ করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে সিলেট হাই-টেক পার্ক সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা হাই-টেক পার্ক সমূহের অগ্রগতি ও প্রদত্ত সুবিধাবলি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন হাই-টেক পার্ক অথরিটির কনসালটেন্ট জুবায়ের মাহবুব। তিনি বলেন, হাই-টেক পার্কের বিনিয়োগকারীরা কর্পোরেট ট্যাক্সের ক্ষেত্রে ১০ বছর এবং ইনকাম ট্যাক্সের ক্ষেত্রে ৩ বছরের রেয়াত সুবিধা পাবেন। এছাড়াও ইউটিলিটি বিলের ভ্যাট মওকুফ এবং কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবেন। সভায় হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ সম্ভাবনা, প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপদেরকে প্রদত্ত সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বক্তব্য রাখেন হাই-টেক পার্কের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবির। তারা জানান, হাই-টেক পার্কের ট্রেনিং সেন্টারের আওতায় ইতোমধ্যে ১৬ হাজার স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যারা হাই-টেক পার্কে কাজের ক্ষেত্রে প্লাগ এন্ড প্লে সুবিধা অর্থাৎ সম্পূর্ণ রেডি ওয়ার্কপ্লেস পাবেন। তারা এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য স্টার্টআপ ও বিনিয়োগকারীদের আহবান জানান। সভায় বক্তাগণ হাই-টেক পার্কের হাওড় এলাকায় সোলার এনার্জি প্লান্ট স্থাপন, ডাটা সেন্টার নির্মাণের লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য ১০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, সৌন্দর্য্যবর্ধনের চিন্তা না করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ সম্পন্নকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু, নিরাপত্তা বৃদ্ধিকরণ এবং যেকোন নতুন প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার পূর্বে ফিজিবিলিটি স্টাডি করার অনুরোধ জানান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক মোঃ আব্দুস সামাদ, সায়েম আহমদ, মোঃ মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী মুশফিক, সদস্য এনায়েত আহমেদ, সচিব মোঃ গোলাম আক্তার ফারুক, উপ-সচিব সানু উদ্দিন রুবেল, মোঃ আজিজুর রহিম খান প্রমুখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবী।