ভেঙ্গেচুরে নগরীর রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা

2

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট নগরের রাস্তার বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, দেখার যেনো কেউ নেই। জানা গেছে, ২০২২সালের পরে সিলেট সিটি করপোরেশন নগরীর রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন কাজ করেনি। এবারের বন্যায় সিলেট নগরীর সিটি করপোরেশন এলাকায় বেশ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারনে সিলেট নগরীর বেশির ভাগই জায়গা প্লাবিত হয়েছে। সিসিক সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের আংশিক রাস্তা ভেঙেছে ২৫০ কিলোমিটার, কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৮০ কিলোমিটার।
সরেজমনি দেখা যায়, নগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলী পয়েন্ট থেকে বাসটার্মিনালের রাস্তাটি ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। হুমায়ুন রশীদ চত্তর থেকে চন্ডীপুল পর্যন্ত বেশিরভাগ অংশ ভেঙে বিপদজনকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। এভাবে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন সড়ক ভেঙে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দর বাজারে দূর্ঘাকুমার স্কুলের সামনে থেকে ধোপাদিঘীরপার পর্যন্ত অনেক জায়গা ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। করিমউল্লাহ মার্কেটের টিক উল্টো পাশের সম্মুখ থেকে লালদিঘীর পার হয়ে কালিঘাট পর্যন্ত ও বাণিজ্যিক প্রধান হাট কালিঘাটের রাস্তা ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সুরমা মার্কেটের সামনে থেকে জিতু মিয়ার পয়েন্ট হয়ে লামাবাজার পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। এভাবে নগরীর বেশিরভাগ রাস্তার অবস্থাই এরকম বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সিএনজি অটোরিকশা চালক মঈন উদ্দিন বলেন, আমরা বিপদজনকভাবে রাস্তায় যানবাহন চালাচ্ছি, রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ মোঃ দাদুল বলেন, লালদিঘীরপার ও কালিঘাটের রাস্তাটি দীর্ঘ দিন থেকে ভেঙে গেছে, দ্রæত সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। ৪০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজ কুমার পাল রাজু বলেন, বর্ধিত সিটি করপোরেশনের এলাকায় তো এই ১ বছরে রাস্তাঘাটের তেমন উন্নয়ন করতে পারেনি সিসিক। আমাদের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ দিন থেকে আবেদন নিবেদন করেছি কিন্তু কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, বন্যার পরবর্তী সময়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের এ সব রাস্তা সংস্কার করতে বা পুনঃনির্মাণ করতে ১০৯ কোটি ৯৮লক্ষ টাকার চাহিদা পত্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় এটি বাতিল করে দেয়। বর্তমানে ৪৮কোটি টাকার ২টি ও ২০কোটি টাকার একটি চাহিদাপত্র অর্থাৎ ১১৬কোটি টাকার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এসব টাকা পেলে আমরা দ্রæত কাজ শুরু করবো।