স্টাফ রিপোর্টার
দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামের দক্ষিণ মহল্লাবাসীর চলাচলের দুই শ বছরের পুরনো রাস্তা দেয়াল নির্মাণ করে বন্ধ করে দিয়েছে একটি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। সেনাবাহিনী ও আইনশৃক্সক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙ্গে ফেলার কথা বললেও ওই মহল কথা শুনেনি। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন সব্দলপুর গ্রামের বাসিন্দা হাজী মো. ইউনুছ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে সব্দলপুর গ্রামের মরহুম মসকন্দর ্আলীর ছেলে এনামুল কবির, আশরাফুল ও তাদের সহযোগীরা গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির মাঝামাঝি দেয়াল নির্মাণ করে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্বিসহ জীবন পার করছেন গ্রামের লোকজন। খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেয়াল অপসারণের কথা বললেও তারা কর্ণপাত করেনি। এসব মামলার পুলিশ প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে এনামুল গংরা জোরপূর্বক মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে। অতীতে বারবার চেষ্টা করেও সফল হতে না পেরে এনামুল ও আশরাফুল গংরা গত ৫ আগষ্টের ছাত্রজনতা ও সাধারণ মানুষের বিজয় পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত ১২ আগষ্ট ভোরবেলা সকলের অজান্তে বিপুল সংখ্যক হেলমেট পরিহিত ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসী বাহিনীকে দিয়ে ফিল্মি স্টাইলে বিশাল অর্থের বিনিময়ে রাস্তার উপর দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন এবং কলকাটি নেড়েছেন একটি রাজনৈতিক দলের সিলেটের প্রভাবশালী শীর্ষ দু’এক জন নেতা। যারা পট পরিবর্তনের পর ইতিমধ্যে নানাভাবে সমালোচিত হয়েছেন।
সালিশ বিচার না পেয়ে অবশেষে গত ২৯ আগষ্ট আমার ছেলে আশফাক জামান রাজবীর বাদী হয়ে দ্রæত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেছে। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবদেন দেয়ার জন্য মোগলাবাজার থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। অনুরুপভাবে এর আগে তারা রাস্তা বন্ধের পায়তারা করলে রাজবীর বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরো দুটি মামলা দায়ের করেছিল। এসব মামলায় বিবাদীদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং স্থিতাদেশ দেন আদালত। কিন্তু এনামুল গংরা আদালতের আদেশ অমান্য করে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা বন্ধ করে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে ইউনুছ আহমদ এসব দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের নেতৃবৃন্দসহ সচেতন সিলেটবাসীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামের মুরব্বিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।