মহানগর আ.লীগ নেতা আব্দুর রহমান জামিলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

59

ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত ২৬ আগষ্ট সোমবার গ্রেফতার হওয়া সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সিলেট রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারি আব্দুর রহমান জামিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের বিগত ১৬ বছরের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আব্দুর রহমান জামিল কোটি কোটি টাকার বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনে নিজের ও অন্যের নামের টিকাদারি লাইসেন্স দিয়ে নিম্নমানের কাজ করিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ ছাড়া সিলেট রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিকে নিজের দলীয় কার্যালয়ের মত ব্যবহার করা, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ও মুজিব জাহান মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য ছাড়াও রেড ক্রিসেন্টের ভেতরে বিনা টেন্ডারে ফার্মেসি স্থাপন ও বিভিন্ন প্রজেক্টে যোগাযোগী টেন্ডারের মাধ্যমে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবন তৈরী করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে জামিলের বিরুদ্ধে।
২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আব্দুর রহমান জামিল প্রতিদ্বন্দীতা করেন। সেই নির্বাচনের দিন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা, গুলিবর্ষণ ও সেন্টার দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ও ১৬ বছরের বিভিন্ন সময়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এই নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়া সোনারপাড়া জামে মসজিদের পুকুরে সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকাবস্থায় পুকুরের জায়গা ভরাটেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের অরুন কুমার কর নামের এক টিকাদার দিয়ে সিন্ডিকেট করে ১৯নং ওয়ার্ডে উন্নয়নের নামে বিপুল পরিমান অর্থ লুঠপাটের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, ২৬ আগষ্ট সোমবার আব্দুর রহমান জামিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (বিজি ২৩৫) সৌদি আরবের জেদ্দায় যাওয়ার কথা ছিল। বিমানবন্দরের কয়েকটি নিরাপত্তা স্তর পেরিয়ে ইমিগ্রেশনে চলে যান তিনি। এ সময় তারা হজের ইহরামের কাপড় পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু ইমিগ্রেশনের সময় তাকে আটকে দেওয়া হয়। পরে বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। এসময় আটক আব্দুর রহমান জামিলের সাথে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামিম আহমদ।