সিলেটে ট্রাফিক পুলিশের লুট হওয়া ৪৬টি যানবাহন লাপাত্তা

1

মো. আব্দুল হাছিব
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার খবরে সারা দেশের ন্যায় সিলেটে ছাত্র জনতাসহ সকল শ্রেণির মানুষ বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে। ঐদিন বিকেল ৩টার দিকে এক শ্রেণির লোকজন সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালায়।
সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা ২৭নং ওয়ার্ডের হবিনন্দী এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডাম্পিং ষ্টেশনেও বিভিন্ন সময়ে জব্দ করে মামলার ৫৫৬টি যানবাহন রেকার করে ডাম্পিং ষ্টেশনে রাখা হয়। যানবাহনগুলোর মধ্যে ছিলো মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, কার, লাইটেস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এই জায়গা থেকে সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত আটো রিকশাগুলি লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। লুটপাটের পরের দিন অর্থাৎ ৬ আগস্ট ২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল জলিল নজরুল ওয়ার্ডবাসীকে নিয়ে মতবিনিময় করে লুণ্ঠনকৃত যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়। পরবর্তীতে কাউন্সিলর আব্দুল জলিল নজরুল এর প্রচেষ্টায় বেশকিছু যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ৪৬টি যানবাহন এখন পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যাবাহনগুলো যারা নিয়েছে এগুলো সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সময়ে মামলার জব্দকৃত আলমতের যানবাহন। লুটপাটকারীরা শুধু গাড়িগুলো নেয়নি তারা কম্পিউটার, টেবিল, ফ্যানসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। মালামাল যেগুলো খোয়া গেছে তার একটি তালিকা তৈরি করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর সহায়তায় লুট হওয়া অনেক যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে হবিনন্দী এলাকায় ডাম্পিং ষ্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মীর জাহান নামক এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য পাহারায় রয়েছেন। ঐ পুলিশ সদস্য জানান, লুঠ হওয়া গাড়িগুলো থেকে কাউন্সিলরের মাধ্যমে অনেকে স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে, এখনও ৩২টি মোটরসাইকেল, ৯টি সিএনজি অটোরিকশা ও ৫টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার হিসেব পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল জলিল নজরুল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি জরুরি মিটিংয়ে রয়েছেন বলে লাইন কেটে দেন।