কাজির বাজার ডেস্ক
অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া) নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। রবিবার সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিআইডি প্রধান বলেন, ‘দেশে অনলাইন জুয়া বা গ্যাম্বলিং নিয়ন্ত্রণে অন্যতম চ্যালেঞ্জ তথ্যের ঘাটতি এবং কোনো গবেষণা ও সুনির্দিষ্ট আইন না থাকা। ধারণা করা হচ্ছে, দেশে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি গ্যাম্বলিং টিম রয়েছে।’
অনলাইন জুয়া (গ্যাম্বলিং) নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘না হলে অর্থ পাচারসহ নানা ধরনের অনলাইনভিত্তিক অপরাধ বাড়বে। আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’ আলী মিয়া আরও বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটরগুলোকে আইনের আওতায় আনা জরুরি। ই-মানিতে টাকার সোর্স কখনো দেখা হয় না। এ বিষয়ে বেশকিছু মামলা হয়েছে।’
অনলাইনে অর্থ পাচারসহ অপরাধ দমনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা লাগবে। না হলে একক ইউনিটের পক্ষে এগুলো বন্ধ করা কঠিন বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর ও রাজস্ব বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে আলী মিয়া বলেন, ‘সরকারি কোনো কর্মকর্তা যদি সার্ভিস চলাকালে অপরাধ করেন, এজন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রয়েছে। এ বিষয়ে এখানে প্রশ্ন না টানাই ভালো।’