কাজির বাজার ডেস্ক
মাল্টিকালচারালিজমের দেশ কানাডায় বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আগামীকাল স্থানীয় সময় রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করবেন। এছাড়াও দেশটির বিভিন্ন প্রদেশেও এদিন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে।
ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মসজিদ ও ইদগাহ ময়দানের ঈদুল আজহার নামাজের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান এতে অংশগ্রহণ করবেন। ঈদ এলেই সবারই স্বপ্ন বাড়ি যাবে, ব্যতিক্রম শুধু প্রবাসীদের। ইচ্ছে থাকলেও বাস আর ট্রেনের টিকিট কেটে দেশের বাড়িতে যাওয়া যায় না। দেখা হয় না মমতাময়ী মা-বাবা পরিবার আর স্বজনদের।
কানাডায় নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেয়া বাধ্যতামূলক। কেউ কেউ ছুটে যান শহরের অদূরের গরুর ফার্মগুলোতে। কারও কারও অর্ডার থাকে গ্রোসারি দোকানে, যেখানে কোরবানির মাংস পেতে তিন চার দিন সময় লেগে যায়। আবার কারও কারও থাকে কর্মদিবস। তবুও খুব ভোরে নতুন পোশাক পরে বের হয়ে পড়েন ঈদের নামাজ আদায় করতে।
যান্ত্রিকতাময় প্রবাস জীবনে ঈদের দিনে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হয় একে অপরের সঙ্গে। শ্রদ্ধা ভালবাসা আর সহমর্মিতায় দিনটি পরিণত হয় মিলনমেলায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবাই একত্রিত হয়ে মেতে ওঠেন নানা গল্প আর আড্ডায়। আড্ডায় ঈদ আনন্দের সঙ্গে উঠে আসে দেশের সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।
আড্ডার পাশাপাশি চলে ঈদ উপলক্ষ্যে নানা সুস্বাদু খাবার। বিরিয়ানি, পোলাও, কোর্মা, মাংসের চপ, রোস্ট, জর্দা আর গৃহবধূদের হাতের তৈরি দইসহ নানামাত্রিক রান্না করা খাবারের সমারোহ।
মহামিলনের পাশাপাশি কানাডার প্রবাস থেকে দেশের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গেও চলে টেলিফোনে আলাপচারিতা। এই আলাপে কারও কারও নয়ন ভেসে আসে জলে, আবার নানা স্মৃতিচারণ করে কেউ কেউ হয়ে যান আনন্দিতও।