বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ পুলিশের কনেস্টবল গ্রেফতার

3

স্টাফ রিপোর্টার
জাল টাকার বিপুল পরিমাণ নোটসহ সিলেটে পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ’র (এপিবিএন) সদস্যরা। মঙ্গলবার নগরীর সুবিদবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় এপিবিএন-৭ সিলেটের এসআই মো. হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতার মো. মহিদুল হক ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ঘোলঘাই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল। মাস খানিক আগে পুলিশ লাইন থেকে পালিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে এপিবিএন-৭ সিলেটের কাছে খবর আসে কোরবানির ঈদে পশু কেনা-বেচায় জাল টাকা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নগরীর সুবিদবাজার মোড়ে কতিপয় লোক জড়ো হয়েছেন। খবর পেয়ে এপিবিএন-৭ সদস্যরা সুবিদবাজার ইবিএল ব্যাংকের সামনে গেলে টের পেয়ে দৌঁড়ে পালাবার চেষ্টাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত বলে জানান।
পরে তার দেহ তল্লাশি করে পরিহিত ট্রাউজারের ডান পকেট থেকে ৫০০ টাকার একটি বান্ডিল, যার মধ্যে ৯২, ০০০ মূল্যমানের জাল নোট। প্রত্যেকটি নোটের সিরিয়াল নম্বর ক ক ২৯, ০০৯৮১। বাঁ পকেটে ২০০ টাকার বান্ডিল, যার মধ্যে ২৯, ৬০০ মূল্যমানের জাল নোট যার প্রত্যেকটি নোটের সিরিয়াল নম্বর ক ক ৯৬৯৯৪৩ এবং ১০০ টাকার একটি বান্ডিল যার মধ্যে ১৪, ৯০০ মূল্যমানের জাল নোট, প্রত্যেকটি নোটের সিরিয়াল নম্বর চ ক ০০০০০০০ এবং সবগুলো নোটে লাল কালিতে খেলনা টাকার নমুনা লেখা আছে। মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যমানের জাল নোট জব্দ করা হয়।
সূত্রে জানায়, গ্রেফতার মহিদুল হক ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই থেকে তার প্রথম স্ত্রীর মামলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত আছেন। বরখাস্ত অবস্থায় তার নজরদারিতে দুজন কনস্টেবলকে পাহারার দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। তিনি কনস্টেবলদের ফাঁকি দিয়ে চলতি বছরের ৩ মে পুলিশ লাইন থেকে পালিয়ে যান।
এসএমপির উপকমিশনার (সদর ও প্রশাসন) অতিরিক্ত ডিআইজি তোফায়েল আহমদ বলেন, কনস্টেবল মহিদুল হক সাময়িক বরখাস্ত ও নজরদারিতে থাকা অবস্থায় পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত চলছিল। এর মধ্যে আবার এই ঘটনা ঘটাল। এখন বিধি মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।