কাজির বাজার ডেস্ক
নতুন অর্থবছরের বিকল্প বাজেট ঘোষণা করেছে অর্থনীতি সমিতি। উন্নয়ন এবং পরিচালন ব্যয় মিলে অর্থনীতি সমিতির বাজেটের মোট আকার ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকা। যা সরকারের দেয়া বর্তমান বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বিকল্প জনগণতান্ত্রিক বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৩-২৪: বৈষম্য নিরসনে জনগণতান্ত্রিক বাজেট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। আবুল বারকাত বলেন, আমাদের বাজেট সম্প্রসারণমূলক। সরকার আগামী অর্থবছরে যে বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে তার আকার ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা বলে আমরা শুনেছি। সেক্ষেত্রে আমাদের বাজেট সরকারের চেয়ে ২ দশমিক ৭ গুণ বড়। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, লাগামহীন কর্মবাজার সংকোচন, মহামারি ও ইউরোপ যুদ্ধের অভিঘাত, এসব বিষয় মাথায় রেখে আগামী বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বহুমাত্রিক দরিদ্র। ধনী ও অতি ধনীর সংখ্যা ১ শতাংশ। বহুমাত্রিক দরিদ্রের সংখ্যা কোভিডকালের চেয়েও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি না বাড়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সঞ্চয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। অনেকেই ধার-দেনা করে জীবন চালাচ্ছে, আমিষ জাতীয় খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি বলেন, পূর্ণ কর্ম নিয়োজন, শিশুর জন্য সুস্থ জীবন, সবার জন্য আবাসন ও মূল্যস্ফীতি রোধ- এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে অর্থনীতি সমিতি বাজেট প্রণয়ন করেছে।