কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুবুল হক পাটোয়ারী বলেছেন, বিজ্ঞান ভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার দেশের কৃষি উৎপাদনশীলতায় নতুন গতির সঞ্চার করেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বর্তমান সরকার দেশের কৃষির উন্নয়নে কার্যকর সংযোগ স্থাপন, ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ, কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ফসলের নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। দেশে উচ্চফলনশীল ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও প্রবর্তনের ফলে খাদ্যশস্য, সবজি ও ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে এবং ফসল উৎপাদনে দেশ অভ‚তপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহত্তর সিলেটের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে ইতিমধ্যে লাগসই কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে আজ সিলেটে পতিত জমির সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হতে হবে। তিনি প্রবাসী নির্ভরশীলতা কমিয়ে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণে সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি শুক্রবার (৭ জুন) সিলেট নগরীর সুবিদবাজারস্থ পিটিআই অডিটোরিয়ামে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক কার্যক্রম মূল্যায়ন বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী ঢাকা’র মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ডিএই খামার বাড়ী ঢাকার সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চল সিলেট এর অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মোতিউজ্জামান, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সিলেট এর অধ্যক্ষ ড. কাজী মোঃ মজিবর রহমান, ডিএই সিলেটের উপপরিচালক খয়ের উদ্দিন মোল্লা, সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, হবিগঞ্জের উপপরিচালক নুরে আলম সিদ্দিকী, মৌলভীবাজারের উপপরিচালক শামসুদ্দিন আহমদ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রকিব উদ্দিন।
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপপরিচালক আব্দুল মন্নানের পরিচালনায় কর্মশালার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মোঃ তৌফিক হোসেন খান ও গীতা পাঠ করেন কনক চন্দ্র রায়।
কর্মশালার কারিগরি সেশনে চেয়ারপারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই খামার বাড়ী ঢাকার সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী।
সেশনে অংশ গ্রহণ করেন, ডিএই সিলেটের উপপরিচালক মোঃ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, আরএআরএস আকবরপুর এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ হায়দার হোসেন, ব্রি হবিগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মামুন হোসেন।
জেলা ভিত্তিক সেশনে অংশ গ্রহণ করেন ডিএই সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, হবিগঞ্জের উপপরিচালক নুরে আলম সিদ্দিকী, মৌলভীবাজারের উপপরিচালক শামসুদ্দিন আহমদ।
উপজেলা ভিত্তিক সেশনে অংশ গ্রহণ করেন কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন, চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহিদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রাকিব আল হাসান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাশরেফুল আলম ও সিলেট সদর উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হান পারভেজ রনি।
সমাপনী অধিবেশনে বিভাগের শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
দিনব্যাপী কর্মশালায় সিলেট বিভাগের ব্রি, এসআরডিআই, বিনা, বিএডিসি, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ডিটিও, এডিটি, ইউএও, এইও, এসএএও, শ্রেষ্ঠ কৃষকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।