সিলেটে হতে পারে অতিভারী বর্ষণ

13

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল থাকায় শুক্রবার বন্যাকবলিত এলাকা থেকে দ্রæত নামছে পানি। এছাড়াও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ খবর জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
সিলেটে গেল কয়েক দিন আবহাওয়া ছিলো মেঘলা। দিন কিংবা রাত কিছুক্ষণ পরপর চলমান বৃষ্টি ছিল। ঢানা বৃষ্টিপাতে সিলেটের ১০টি উপজেলাসহ সিলেট নগরীও প্লাবিত হয়েছিলো। এখন ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
এদিকে সিলেট নগরীসহ উপজেলাগুলোতে পানি নেমে গেছে। ডুবন্ত বাসা, দোকানপাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর নতুন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সব জায়গায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে সেপটিক ট্যাঙ্কের ময়লার দুর্গন্ধে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজনের নাভিশ্বাস উঠছে। নিরাপদ পানির অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
২ জুন রবিবার রাতে কয়েক ঘন্টার বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েন নগরীর তালতলা, কাজির বাজার, শাহজালাল উপশহর, যতরপুর, সোবহানীঘাট, মাছিমপুর, ছড়ারপাড়, মেন্দিবাগ, তেররতন, সাদারপাড়া, কুশিঘাট, তেলিহাওর, জল্লারপাড়, মির্জাজাঙ্গাল, জামতলা, জিন্দাবাজার, দরগাহ মহল্লা, মুন্সিপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘীরপাড়, হাওয়াপাড়া, কানিশাইল, কাজলশাহ, বাঘবাড়ি, নাইওরপুল, মাছুদিঘীরপাড়, ভাতালিয়া, লামাবাজার, বিলপাড়, জেলরোড, সওদাগরটুলা, দাঁড়িয়াপাড়া, শিবগঞ্জ, সোনারপাড়া, শেখঘাট, কলাপাড়া, মজুমদারপাড়া, খাসদবীর, চৌকিদেখি, লালদিঘীরপাড়, আগপাড়াসহ নগরীর দক্ষিণ অংশের বেশিরভাগ এলাকার বাসিন্দারা। গত বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে এখনো নগরীর অন্তত ১০টি এলাকা পানির নিচে রয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যাকবলিতদের চিকিৎসাসেবা দিতে আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে। এবার বন্যায় মানুষ সেরকম ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন না। অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন ইতোমধ্যে আমরা তাদের মেডিসিন দিয়েছি। প্রতিদিনই আমাদের এই কার্যক্রম চলছে। পানিবাহিত রোগ নিয়ে আমরা সর্তক আছি।
গত ২৭ মে থেকে সিলেটের ১০টি উপজেলা বন্যা আক্রান্ত রয়েছে। কোথাও পানি কমছে আবার কোথাও পানি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বেশীরভাগ জায়গায় উন্নতি হচ্ছে বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।