জগন্নাথপুরের আকি দ্বিতীয়বারের মতো জয় করলেন এভারেস্ট

1

কাজির বাজার ডেস্ক

দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চ‚ড়া স্পর্শ করেছেন পর্বতারোহী আকি রহমান। বিশ্বের বিপৎসংকুল ১৪টি উঁচু পর্বত আরোহণের নতুন অভিযানের অংশ হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এই কৃর্তিমান।
গত ২২ মে স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে এভারেস্টের চ‚ড়ায় পৌঁছান আকি রহমান। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছিলেন তিনি। মাত্র ২১ ঘণ্টায় এই দুঃসাহসী অভিযান শেষ করেন তিনি। তাঁর ওই অভিযান যুক্তরাজ্যে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল।
গত ১৫ এপ্রিল থেকে বিশ্বের বিপৎসংকুল ১৪টি উঁচু পর্বত আরোহণের অভিযানে নেমেছেন আকি রহমান। এবারের এ অভিযানের মাধ্যমে তিনি দেড় মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিল সংগ্রহ করতে চান। তহবিল থেকে সংগৃহীত অর্থ ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিভিন্ন দেশের নিপীড়িত অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করবেন তিনি। ধারাবাহিকভাবে ১৪টি পর্বত আরোহণের এই দীর্ঘ অভিযান শেষ হবে আগামী বছরের অক্টোবরে। এ অভিযান সফল হলে তিনি হবেন বিশ্বের ৫২তম ব্যক্তি, যিনি ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের মাইলফলক স্পর্শ করবেন। অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৯ মে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে (৮ হাজার ৫১৬ মিটার) জয় করেন আকি রহমান। এরপর ২২ মে দ্বিতীয়বারের মতো ওঠেন এভারেস্টের চ‚ড়ায়। আকি রহমান চার ধাপে ১৪টি পর্বত আরোহণের কঠিন অভিযান শেষ করতে চান। প্রথম পর্যায়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, মাউন্ট এভারেস্ট, লোৎসে ও মাকালু পর্বতশৃঙ্গ। এ বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আরোহণ করবেন এসব পর্বতের চ‚ড়ায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে জুন থেকে আগস্টের মধ্যে পাকিস্তানের নানগা পর্বত, গাসব্রম ওয়ান, গাসব্রম টু ও কেটু এবং চীনের ব্রড পিক। তৃতীয় পর্যায়ে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে জুনে নেপালের অন্নপূর্ণা, চীন ও নেপালের চু ইউ, চীনের শিশাপাগমা এবং চতুর্থ পর্যায়ে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আরোহণ করবেন নেপালের মানাচলু ও দাওলাগিরি পর্বত। পর্বত অভিযান থেকে সংগৃহীত অর্থ ইউকেআইএমের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের গাজা, যুক্তরাজ্যের ‘কমিউনিটি ওয়েলবিয়িং’ প্রকল্প, ‘চিলড্রেন অ্যান্ড অরফান’ প্রকল্পসহ ইসলামিক মিশনের আফ্রিকা, সিরিয়া, মরক্কো, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের বিপন্ন ও অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করবেন আকি রহমান।
আকি রহমানের বাড়ি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরন গ্রামে। তিনি দেড় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। তাঁর শৈশব কেটেছে ওল্ডহ্যাম শহরে।