জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

17

মোরাদ হাসান, জৈন্তাপুর

গত এক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জৈন্তাপুরে উপজেলা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, ময়নাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগ হয়ে জৈন্তাপুরের মেধল হাওর, ভ‚জি হাওর, খাগড়া হাওর সহ বিভিন্ন গ্রামে পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। কারণে
অপরদিকে উপজেলার সবচাইতে বড় নদী সারী, বড়গাং, নয়াগাং ও রাংপানি নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি রয়েছে।
ডিবিরহাওর গ্রামের বাসিন্দা হারুন মিয়া, মানিক মিয়া, মাসুক আহমদ সহ অনেকেই বলেন পাহাড়ী ঢলে এবং অতিবৃষ্টির কারণে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই বন্যার পানি বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না, বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যাবে। তবে এই বন্যায় কৃষকদের ফসলে কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
হর্নি, বাইরাখেল, মাঝের গ্রামের বাসিন্ধা গণি মিয়া, আব্দুস শুকুর, হোসেন আহমদ বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে এবং উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে আমাদের নিম্নাঞ্চল গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। যদি বৃষ্টি না থামে তাহলে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্বক আকার ধারণ করতে পারে। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে ৪/৫ ঘন্টার মধ্যে পানি নেমে যাবে। আশারাখি সৃষ্ট বন্যায় কৃষকদের কোন ক্ষতি নেই, তবে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষতির সম্ভাবনার আশংকা রয়েছে।
এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টি থামলে দ্রæত পানি নেমে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া প্রতিবেদক কে জানান, টানাবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ফ্লাস বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের খোঁজ খবর রাখা হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া সকল নদী পথে যাতায়াত কারীদের সতর্কবস্থায় চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়।