কাজির বাজার ডেস্ক
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছে প্রায় ১৭ লাখ। তবে একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ। সেই হিসাবে একাদশ শ্রেণিতে ফাঁকা থাকবে ৮ লাখের বেশি আসন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, একাদশ শ্রেণিতে আট লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকলেও কিছু বিশেষ কলেজে ভর্তিতে প্রতিযোগিতা হবে। এর ফলে জিপিএ-৫ পেয়েও পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবে না শিক্ষার্থীরা।
সব শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এবার এসএসসিতে মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যেও এগিয়ে মেয়েরা। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন আর ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য বলছে, সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে ২৫ লাখ। এর মধ্যে রাজধানীতেই রয়েছে ৫ লাখের বেশি আসন। এবার মাধ্যমিকে ১১টি বোর্ড মিলে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সে হিসাবেও অন্তত আট লাখের বেশি আসন খালি থেকে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে মানসম্পন্ন ও ভালো কলেজ হিসেবে বিবেচিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই শতাধিক। এতে আসন আছে এক লাখের কাছাকাছি। এসব কলেজেই শিক্ষার্থীদের ভর্তির আগ্রহ বেশি থাকবে। তবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকে রাজধানীর দিকে। ঢাকায় মানসম্পন্ন কলেজের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০। এগুলো ভর্তিতে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়।
জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এবার একাদশ শ্রেণিতে ২৫ লাখ আসন থাকলেও পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার। সে হিসাবে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে। তবে ভালো কলেজগুলোয় ভর্তির প্রতিযোগিতা হবে। কবে নাগাদ ভর্তি শুরু হবে এ বিষয়ে দু-এক দিনের মধ্যে জানানো হবে।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড়ে পাস করেছে ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
গত ১৫ ফেব্রæয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রæয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে করোনা মহামারির কারণে দেশের শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। ২০২০ সালে বিষয় ও নম্বর কমিয়ে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। আর চলতি বছরও এবার পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ সময় এবং পূর্ণ নম্বরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হয়।