স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে জামায়াত-শিবিরের নাশকতা ও হামলা প্রতিরোধে পাহারা বসিয়েছে ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে গত তিনদিন ধরে টিলাগড়ে চৌকি বসিয়ে পাহারা দেয়া হচ্ছে। ওই রাস্তা দিয়ে জামায়াত-শিবিরের কোন ক্যাডার নাশকতার জন্য কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। পাহারা বসানোর কথা স্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান আহমদ চৌধুরী। এই পাহারার অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার রাতে হরতালের সমর্থনে মোটরসাইকেল মহড়া দেয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিবিরের এক কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। পরে ছাত্রলীগ শিবির নিয়ন্ত্রিত একটি মেসেও হামলা করে।
ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীর বালুচর এলাকা শিবিরের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বালুচর এমসি কলেজের আশপাশ এলাকায় মেস করে শিবির নেতাকর্মীরা থাকেন। হরতালসহ রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে শিবির ক্যাডাররা এসব মেস থেকে সশস্ত্র অবস্থায় বের হয়ে নগরীতে নাশকতা চালান এবং চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে তারা ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে পঙ্গু বানিয়েছেন বলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েকদিনের হরতালেও এসব মেস থেকে শিবির নাশকতা চালিয়েছে বলে ছাত্রলীগের অভিযোগ।
এ অবস্থায় জামায়াত-শিবিরের নাশকতা ঠেকাতে গত মঙ্গলবার রাত থেকে নগরীর বালুচর ও টিলাগড়ে পাহারা বসায়। রাত ৮টার দিকে বালুচর থেকে মোটর সাইকেল মহড়া নিয়ে টিলাগড়ের দিকে যাচ্ছিল কয়েকজন শিবিরকর্মী। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের কাছে আসার পর পাহারাত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদেরকে প্রতিরোধ করে। এ সময় আহমদ বিন জাহাঙ্গীর নামের এক শিবিরকর্মীকে কুপিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে শিবির নিয়ন্ত্রিত মেস দাবি করে বালুচরস্থ একটি বাসায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর টিলাগড়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাহারা বসায়। টিলাগড় দিয়ে জামায়াত-শিবির যাতে শোডাউন করে নগরীতে ঢুকতে না পারে সেজন্য তারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সারাদিন পাহারা দেয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান আহমদ চৌধুরী জানান, গত কয়েকদিন থেকে নগরীতে জামায়াত-শিবির নাশকতা চালিয়ে আসছে। তারা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের মিছিলে হামলা করারও দু:সাহস দেখিয়েছে। তাই শিবির প্রতিরোধে এবার মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগ। জামায়াত-শিবিরকে ঠেকাতে টিলাগড়ে পাহারা বসানো হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে জামায়াত-শিবিরের কোন ক্যাডারকে নগরীতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।