সিলেট সফররত ভারতের আসাম সরকারের প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং আসামের এইপিএ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারি বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত আমরা একসাথে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবো। আমাদের দুদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের আন্তরিক সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, সিলেট ও আসামের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একসাথে কাজ করার এখনই সময়। ‘সম্পর্কযাত্রা’র নতুন উদ্যোমকে কাজে লাগিয়ে আমরা আবার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পর্যটন খাতে পারস্পরিক বিনিয়োগের মাধ্যমে একসাথে এগিয়ে যাবো।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট চেম্বার এর উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিলেট নগরীর দরগাহ্ গেইটস্থ হোটেল স্টার প্যাসিফিকে সফররত ২০ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সাথে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার ড. মোহাম্মদ তানভির মনসুর, সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার এল. কৃষ্ণমূর্তি, আসামের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের এডিশনাল চীফ সেক্রেটারী যীষ্ণু বড়–য়া, সিলেটের কাস্টম্স কমিশনার গোলাম মোঃ মুনীর, এফবিসিসিআই’র পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ, নুরজাহান হসপিটালের চেয়ারম্যান ডাঃ নাসিম আহমদ, সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, প্রাক্তন পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
আসামের মন্ত্রী বলেন, কানেক্টিভিটি হচ্ছে বিজনেসের জন্য সবচেয়ে জরুরী বিষয়। কানেক্টিভিটি উন্নয়নে বিশেষ করে আসাম রাজ্যের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য স্থলপথ ও জলপথের উন্নয়ন করা হলেও আকাশপথে যোগাযোগ এতদিন ছিল না। আগামী ১ জুলাই থেকে গৌহাটি-ঢাকা স্পাইস জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন তেমনিভাবে পর্যটন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ সহজতর হবে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন, ৮% জিডিপি অর্জনসহ বাংলাদেশ গার্মেন্ট্স, প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি ও ফুড প্রসেসিং সেক্টরে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন স্থাপন খুবই ভালো উদ্যোগ বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের অনেক খাদ্যসামগ্রী আসামে জনপ্রিয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সিলেটে যেমন বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে তেমনিভাবে আসামেও বিনিয়োগের উপযোগী ক্ষেত্র রয়েছে। তিনি আসামে সিমেন্ট ফ্যাক্টরী স্থাপনের আহবান জানিয়ে বলেন, সিমেন্ট উৎপাদনের সকল কাঁচামাল আসামেই রয়েছে। আসামের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের আলোচনায় আমাদের দুদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে যেসব বিষয় উত্থাপিত হলো এগুলো নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনা করবো। তিনি বলেন, দুদেশেই চিকিৎসা, শিক্ষা ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য আসাম রাজ্যের এমএলএ দিলিপ কুমার পাল, আমিনুল হক লস্কর, জয়রাম এংলেং, দীপক কুমার রাভা, সুমান হারিপ্রিয়া, মৃণাল সাইকিয়া, কুশাল দোয়ারি, দেবানন্দ হাজারিকা ও রানোজ পেগু, আসাম সরকারের কর্মকর্তা অবিনাশ পুরুষত্তম, এস.এস. মীনাক্ষি সুন্দারাম, এম.এস. মানিভান্নান, উমানন্দ ডলে, রুবি শর্মা, ধ্র“বাজ্যোতি দাস, নাজরিন আহমেদ, দেবা কুমার মিশ্রা, রনজিৎ মজুমদার।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারী নবনীতা চক্রবর্তী, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শহিদুল ইসলাম পিএসসি, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামান, মহাব্যবস্থাপক জীবন কৃষ্ণ রায়, সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ, সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, প্রাক্তন সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ্ আলম, জিয়াউল হক, প্রাক্তন পরিচালক আলহাজ্ব কলন্দর আলী, মোঃ সাহিদুর রহমান, পিন্টু চক্রবর্তী, এহতেশামুল হক চৌধুরী, মোঃ আব্দুর রহমান (জামিল), মুজিবুর রহমান মিন্টু, নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সদস্য এডভোকেট মোঃ জুনেল আহমদ, এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, আপীল বোর্ডের সদস্য এডভোকেট মোঃ রাজ উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, জেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী শাহ্ দিদার আলম নবেল, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সিলেট উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায় প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি