সিলেটে বিভাগীয় পর্যটন শিল্প বিকাশে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শনিবার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।
বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মো: জাকির হোসেন খান, পিপিএম। উক্ত কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল হক। পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারের গৃহীত কার্যাবলি নিয়ে মূখ্য আলোচনা করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ। এছাড়াও এ কর্মশালায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. আসিব আহসান, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসকগণ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, বন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, শাবিপ্রবি’র অধ্যাপক, ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পরিষদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সিলেটের বিভিন্ন জেলার ট্যুরিজম সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পর্যটন খাতকে আরো অত্যাধুনিক করে স্মার্ট পর্যটন ব্যবস্থায় রুপান্তর করতে হবে। এতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাবে, আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং পর্যটন খাতে আয় বৃদ্ধি পাবে।
পর্যটন খাতের চ্যালেঞ্জ সমূহের মোকাবিলায় তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি পর্যটন এলাকাগুলোর সৌন্দর্য রক্ষায় পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। স্থানীয় গাইডদের প্রশিক্ষিত করতে হবে যাতে তারা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে একটি নির্দিষ্ট পর্যটন এলাকার প্রাসঙ্গিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারে। এছাড়াও পর্যটকদের ওয়েবসাইট বা অন্যান্য মাধ্যমে স্মার্ট সুবিধা প্রদান করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, পর্যটন কর্পোরেশন, বিভাগীয় ও স্থানীয় প্রশাসন, ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
মূল প্রবন্ধ ও মূখ্য আলোচনায় মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল হক ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যটন এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য, অবস্থান, চলমান সমস্যা ও উত্তরণের উপায়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এদিকে, মানসিক বিকাশে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করা উচিত। এতে তাদের শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মেধা-মননের বিকাশ ঘটে। এজন্য ক্রীড়াক্ষেত্রে জয় পরাজয় চিন্তা না করে অংশগ্রহণ করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সিলেটে আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে শনিবার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, সিলেট আয়োজিত বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এ কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসির সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ. কে. এম আবদুল্লাহ খান। এছাড়াও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. আসিব আহসান, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসকগণ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা ও কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আজকের শিক্ষার্থী, প্রতিযোগিরাই হবে মূল হাতিয়ার। আজকের নবীনরাই আগামীর বাংলাদেশ পরিচালনা করবে, তাদের হাত ধরেই দেশ পৌঁছে যাবে উন্নত, শিক্ষিত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশে। পুরস্কারপ্রাপ্তসহ সকল অংশগ্রহণকারীর খেলার মাঠের এ শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার ক ও খ ক্যাটাগরিতে বালক ও বালিকা দল অংশগ্রহন করে। এতে পৃথক পৃথকভাবে ১০০, ২০০ ও ৪০০ মিটার দৌড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ ও বর্ষা নিক্ষেপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি