বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের গণতন্ত্র হত্যার পুরনো ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরেছিল। গণতন্ত্র হত্যার সেই ভয়াল থাবা থেকে জাতি আজ মুক্ত হতে পারেনি। ২০১৪ সালের এই দিনে সারাদেশে ভোটার ও বিরোধী দলের প্রার্থীবিহীন একতরফা বিতর্কিত, প্রতারণামূলক, হাস্যকর ও শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রহসনমূলক একদলীয় পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশে নির্বাচন কেন্দ্রগুলো ছিল একদম ফাঁকা। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ছিল ভোটারশূন্য এবং কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের বদলে ভোট কেন্দ্রে চতুষ্পদ প্রাণীর বিচরণ দেখেছে বিশ্ববাসী। বর্তমানেও ভোটাধিকার হরণে কুখ্যাত দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের কলঙ্কিত রেকর্ডকে ভেঙ্গে ফেলে। কারণ ইতিহাস সাক্ষী আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসাথে চলে না। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করতে সকল দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার হত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে জনতার আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি বুধবার দুপুরে নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেক এর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী ও এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক একেএম তারেক কালাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দেওয়ান জাকির হোসেন খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা ফাহিমা আহমদ কুমকুম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সারওয়ার রেজা, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লিটন আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম শাহেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য জুবেদ আমিরী, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কামরান আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোতাকাব্বির চৌধুরী সাকি, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক সদরুল ইসলাম লোকমান, জেলা যুগ্ম সম্পাদক জাবেদুর রহমান জাবেদ ও মহানগর যুগ্ম সম্পাদক আজহার অনিক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি