সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও পরিকল্পিত জীবন গঠনে সহায়তা করে। স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে পরিবার পরিকল্পনায় বাংলাদেশ পাশ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় সাফল্য অর্জন করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মাতৃমৃত্যু ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০-এ নামিয়ে আনা এবং মাতৃমৃত্যু, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং অপূর্ণ চাহিদার হার শূন্য অর্জনে অন্যতম বাধা বাল্যবিয়ে ও কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ। কৈশোরে গর্ভধারণের ফলে প্রসবকালে ও প্রসব পরবর্তী সময়ে মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দেয়। এ কিশোরীরাই ভবিষ্যতের মা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। কিশোরীদের এমন পারিবারিক পরিবেশে বড় করতে হবে যেন, কারো দ্বারা নিগ্রহের কথাটি সবার আগে সে বাবা-মাকেই বলে। তিনি ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে পরিবার কল্যাণ সেবা প্রচার সপ্তাহ ৯-১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ উপলক্ষ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার অতিরবাড়িস্থ সিলেট জেলা মা ও শিশু কেন্দ্র কল্যাণ কেন্দ্র আয়োজিত প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথাবলেন।
নিরাপদ মাতৃত্ব পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে পরিবার পরিকল্পনা সিলেট বিভাগের পরিচালক মো. মাজহারুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপপরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায়। পরিবার পরিকল্পনা সিলেট বিভাগের সহকারী পরিচালক আবুল মনসুর আসজাদ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ডা. এম এ মান্নান। অনুষ্ঠান শেষে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি কিশোরীদের হাতে পুরস্কার সামগ্রী তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এ সম্পর্কিত একটা প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সহকারি পরিচালক তপন কান্তি ঘোষ, সিলেট সদর মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ সাদিক, মেডিকেল অফিসার ডা. মিথুন চৌধুরী, উপজেলা ফ্যামেলি প্লানিং অফিসার মানদা রঞ্জন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি