শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বহুল আলোচিত ও সুপরিচিত অঞ্চল সুরমা ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে অবস্থিত টেংরা গ্যাসফিল্ডের কারণে এই ইউনিয়নের পরিচিতি রয়েছে পুরো বিশ্বজুড়ে। উপজেলা সদরের নিকটবর্তী এই ইউনিয়নটিতে ৩২ হাজার মানুষের বসবাস। রাস্তাঘাট খারাপ, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা আর আশ্বাস বাস্তবায়নের অভাবে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে অবহেলিত এই অঞ্চলটি। সরেজমিনে দেখা গেছে, দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর হতে সুরমা নদী পাড় হয়েই শুরু হয়েছে সুরমা এলাকা। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ, টেংরা গ্যাসফিল্ড এলাকা (টেংরাবাজার) আর একটু সামনে এগুলেই মহব্বতপুর বাজার। মহব্বতপুর বাজার হয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে বিভাগিয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলা সদরে আসেন সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন লক্ষিপুর ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের মানুষজন। এছাড়াও এই রাস্তা ব্যবহার করে দোয়ারাবাজার সদর, পান্ডারগাঁও, মান্নারগাঁও, দোহালিয়াসহ ছাতকে উপজেলার মানুষজন বোগলাবাজার ইউনিয়নে অবস্থিত বর্ডার হাটে যাতায়াত করেন। রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কারনে চলাচলের যেমন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তেমনি এইসব এলাকার মানুষের জীবনমান এখনো প্রাচীনকালের মতো। খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলো এখন যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। রাস্তায় কয়েক শতাধিক খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা ঘাটের অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়ে। ছোট বড় খানাখন্দ বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। আর এতে করে সুরমা, লক্ষিপুর ও বোগলাবাজার তিন ইউনিয়নের প্রায় ৯২ হাজার মানুষের জীবনমান বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এমন উদাসীনতায় নাগরিকদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাগুলো বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন না হওয়ায় পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যায় সুরমা, লক্ষিপুর ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়ক। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে ও উঠছে সমালোচনার ঝড়। শেয়ার করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানের দুর্ভোগের চিত্র। সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন- অর-রশীদ জানান, শুনেছি দোয়ারাবাজার সদর-মহব্বতপুর বাজার রাস্তা সংস্কারে প্রায় ৪ কোটি টাকার টেন্ডার ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি রয়েছে ঠিকাদার নিয়োগ। দ্রæত ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার করে তিন ইউনিয়নের মানুষজনদের দূর্ভোগ লাগবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, দোয়ারাবাজার-মহব্বতপুর সড়কের সংস্কার কাজের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।