ছাতকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাবেক চেয়ারম্যান মুছব্বির কারাগারে

8

ছাতক থেকে সংবাদদাতা

ছাতকে স্কুল ছাত্র পাবেল আহমদ (১৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি, উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বিরকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। রোববার সুনামগঞ্জে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রিট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এর আদালতে ওই মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ বারের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল আজাদ রুমান।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি সকালে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ছোট মায়েরকুল গ্রামের ফুটবল খেলার মাঠ দখল করে ঘর নির্মাণ করতে তৎকালিন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বিরের প্রধান সহযোগি আব্দুল কদ্দুছ পক্ষ মাঠে আসে। এসময় গ্রামের জসিম উদ্দিনের পক্ষের লোকজন বাঁধা নিষেধ দিলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষ অস্ত্রধারীদের হামলায় আহত হয় খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির ছাত্র, ছোট মায়েরকুল গ্রামের ফারুক আলীর পুত্র ও জসিম উদ্দিন পক্ষের পাবেল আহমদ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওইদিন তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসাধিন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্রের মা পারভীন বেগম বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বিরকে প্রধান আসামি করে ছাতক থানায় ৩৪জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-২৩, তাং-৩১.০১.২০২০ইং) দায়ের করেন। এর পর থানা থেকে প্রধান আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এর বিপরীতে বাদি পক্ষ নারাজি দিয়ে পিবিআইকে তদন্তে দিলেও থানা পুলিশের ন্যায় তারাও অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে এই বিষয়ে নারাজি আদালত গ্রহণ করেনি।
পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে রিভিউ পিটিশন আপিল মামলা দায়ের করেন নিহত স্কুল ছাত্রের মা পারভীন। বিষয়টির তদন্তের ভার দেয়া হয় র‌্যাবকে। অবশেষে আব্দুল মছব্বির চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন র‌্যাব। আর ওই মামলায় ১৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় আনোয়ার হোসেন ব্যতিত অন্যান্য আসামিরা জামিনে আছেন বলে জানা গেছে। মামলা থেকে বাঁচতে আনোয়ার প্রবাসে চলে গেছে।