নির্বাচনে আসেন ভোটের মাঠে খেলা হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী

2

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বিএনপিকে বলেছেন- আইন মেনে নির্বাচনে আসেন, ভোটের মাঠে খেলা হবে। দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসা যাবে না। মানুষকে কষ্ট না দিয়ে ভোটে আসেন। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনে দেশের রিজার্ভে কোনো ঘাটতি দেখা দেবে না। বরং নির্বাচনে দেশের অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হয়। কারণ নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা বেশি বেশি টাকা খরচ করে।
বুধবার বেলা ১১টায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আব্দুল মজিদ কলেজের হল রুমে হতদরিদ্রদের মাঝে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওই সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন- দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সময়ে যারা নির্বাচনের না এসে, হরতাল ও অবরোধ করে বাসে আগুন দিয়ে মানুষকে কষ্ট দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। কারণ সামনে নির্বাচন। শেখ হাসিনাকে সুযোগ দিলে আবারও আসব। আমি যদি ভাল কাজ করে থাকি, উন্নয়ন করে থাকি তাহলে আমাকে মনে রাখবেন। এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। আমি চাই আপনাদের সেবা করতে। নিজেকে আপনাদের মাঝে বিলিয়ে দিতে। আপনারা নৌকায় সীল মারলে কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না। দেশের উন্নয়নে মিলেমিশে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের আলোয় পুরো দেশ আলোকিত হচ্ছে। এই সরকার উন্নয়নের সরকার।
আমরা বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা প্রদান করাসহ মানুষের জীবনমানের যে উন্নয়ন করেছে অন্য কোন সরকার এত সহায়তা করেনি। আর এই উন্নয়ন ও সহায়তা একমাত্র শেখ হাসিনার জন্য সম্ভব হয়েছে। অন্যরাতো ফুটানি দল, সাহেবদের দল। তারাতো জনগণের পাশে থাকে না। তারা সবাই শহরে বসবাস করে। একমাত্র শেখ হাসিনাই গ্রামের দিকে নজর দিয়েছেন। গ্রামেগ্রামে সড়ক, কালভার্ট, ব্রিজ, টিউবওয়েল ও ল্যাট্টিনসহ যা যা প্রয়োজন সব করে দিয়েছেন। কারণ আওয়ামীলীগ চায় দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। তাই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বেগবান রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহার সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাসক নুর হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাদাত মান্নান অভি, সাধারণ সম্পাদক হাসানাত হোসেন, আব্দুল মজিদ কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রউফ পল্লব, ওসি খালেদ চৌধুরী, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল বাছত সুজন প্রমুখ।