বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা গতকাল রবিবার সংগঠনের মুহতারাম সভাপতি হযরত মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ইসরায়েল মযলুম ফিলিস্তিনিদের উপর স্মরণকালের ভয়াবহ ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এটি ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী পরিকল্পিত হত্যাকাÐ। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পরিকল্পিত হত্যাকাÐের দ্বারা নিঃশেষ করে সে পবিত্র ভ‚মিকে পুরোপুরি দখলের জন্য সর্বস্ব আত্মনিয়োগ করেছে ইসরায়েল। সেজন্য শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ, বয়োবৃদ্ধ সহ নির্বিশেষে মযলুমের আর্তচিৎকারে ফিলিস্তিনের আকাশ-বাতাস আজ ভারী হয়ে উঠেছে। এই অমানবিক পরিস্থিতিতেও বিশ্বমোড়লরা আজ নীরব। যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্ব মুসলমানদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিলেও সন্ত্রাসী ইসরায়েলকে প্রকাশ্যে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আজ ঘুমিয়ে রয়েছে। মুসলমানদের প্রকৃত বন্ধু কারা, আজ তা স্পষ্ট হয়েছে। সেজন্য মুসলিমবিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে সরকার যে সকল আশ্বাস দিয়েছেন, তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন এখনও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এখনও শিক্ষানীতিতে বিভিন্ন ধরনের ইসলামবিরোধী অপচেষ্টা চলমান রয়েছে। শিক্ষানীতিতে ইসলামবিদ্ধেষী যত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চলছে, আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যদি ইসলামী শিক্ষাকে সংকোচিত করার অপচেষ্টা বন্ধ না হয় এবং শিক্ষানীতিকে কেন্দ্র করে আমাদের দেওয়া দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। শিক্ষানীতিতে ইসলামবিরোধী কারিকুলাম সহ আমাদের অন্যান্য দাবী-দাওয়া মেনে নেওয়া না হলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা একেএম মনোওর আলীর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ নুমান, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, মাওলানা শেহাব উদ্দিন, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আলী আসগর খান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আবু ছালেহ মো. কুতবুল আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা নুমান আহমদ, পাঠাগার সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল করিম মহসীন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল মুছাব্বির, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির খান, মাওলানা শুয়াইবুর রহমান, মাওলানা মুহিবুর রহমান, কাজী আলা উদ্দিন, মাওলানা কাজী হাসান আলী, মাওলানা আজীজ আহমদ, মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা সাদিকুর রহমান শিবলী, মাওলানা মকবুল হুসেন খান, মাওলানা মুজিবুর রহমান আল মাদানী, আলহাজ্জ শাহজাহান মিয়া, মাওলানা আব্দুর রব, মাওলানা আব্দুল হান্নান সিদ্দিকী, মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মাওলানা নাছির উদ্দিন, মাওলানা তাজুল ইসলাম আলফাজ, মাওলানা সালেহ আহমদ, মাওলানা সাজ্জাদুর রহমান, মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাজুল, মাস্টার আহমদ আলী, আলহাজ্জ নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক মোহাম্মদ হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন, সহ-অফিস সম্পাদক মারুফ আহমদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান সাকের।