ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ধোঁয়াশায় অভিভাবকরা

76

 

কাজির বাজার ডেস্ক

চলতি বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান করানো হয়েছে। মূল্যায়নও হচ্ছে নতুন পদ্ধতিতে। ষান্মাসিক মূল্যায়নের পর এবার আসছে বছরের সামষ্টিক মূল্যায়ন। এরই মধ্যে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সময়সূচি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর থেকে মূল্যায়ন শুরু হবে। চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে এখানো মূল্যায়ন নির্দেশনা স্কুলে পাঠানো হয়নি। আগামী ২৯ অক্টোবর এ নির্দেশনা স্কুলে পাঠানো হবে। ২ নভেম্বর তা জানাতে স্কুলে স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে অভিভাবক সমাবেশ। অর্থাৎ মূল্যায়ন শুরুর ৬ দিন আগে নির্দেশনা পাবেন শিক্ষকরা। নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে হবে। আর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মূল্যায়ন নির্দেশিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন মূল্যায়ন শুরুর মাত্র দুদিন আগে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
অভিভাবকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সবাই ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। কেউ বুঝতে পারছেন না। সেখানে মূল্যায়ন শুরুর মাত্র দুদিন আগে শিক্ষার্থীদের জানানো হলে, তা বুঝবে কীভাবে? শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে অভিভাবকরাও কোনো সাহায্য করতে পারবেন না। এদিকে, মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হেনরীর সই করা নির্দেশনায় বলা হয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যয়ন পরিচালনার জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা আগামী ২৯ অক্টোবর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। এ নির্দেশনা মেনে সব বিষয়ের মূল্যায়ন পরিচালনা করতে হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এসব নির্দেশনা দিয়েছে জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, নির্দেশিকায় ট্রান্সক্রিপ্ট ও রিপোর্ট কার্ডের ফরমেট এবং পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের নীতিমালা সংযুক্ত থাকবে। পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ও পারদর্শিতার সমন্বিত ফল বিবেচনা করা হবে।
এছাড়া আগামী ২ নভেম্বর অভিভাবক সমাবেশ করে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সম্পর্কে জানাতে হবে। সমাবেশের ছবি তুলে তা উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘প্রশিক্ষণে আমাদের এক রকম মূল্যায়ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। সারা বছর আমরা সেভাবে ধারাবাহিক শিখনকালীন মূল্যায়ন করেছি। এখন আবার নতুন করে নির্দেশিকা পাঠানো হবে। তাতে হয়তো অনেক নতুন তথ্য যুক্ত থাকবে। মাত্র ৫-৬ দিন আগে এটি আমরা হাতে পাবো। এনসিটিবি ও মাউশির উচিত ছিলÑনির্দেশিকা স্কুলে আরও আগে পাঠানো।’ গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের আরেক শিক্ষক বলেন, ‘পদ্ধতিটা বেশ ভালোই মনে হয়েছে। এনসিটিবি দফায় দফায় নিয়মে পারিবর্তন আনছে। বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমরা যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছি, এমন শিক্ষকরাও সব গুলিয়ে ফেলছি। ধীর-স্থির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে চ‚ড়ান্ত কাঠামো দাঁড় করালে সবাই উপকৃত হবে।’