শিপন আহমদ, ওসমানীনগর থেকে
ওসমানীনগরে রোপা আমনের ফসলের মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। চোখের দৃষ্টি যতদূর যায়, শুধু সবুজ আর সবুজে ফসলের মাঠ। হাওরে বাতাসের সাথে ঢেউয়ের মতো খেলছে ধান গাছের সবুজপাতা ও কাঁচা শীষ। কয়েকদিনের মধ্যেই শীষে দুধ-দানা গঠন শুরু হবে। আর এমন সবুজ সমুদ্রের ঢেউয়ে দুলে উঠছে প্রকৃতি। এ যেন ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। ধানের কাঁচা শীষ দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠে কৃষকের মন।
তবে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, অনুক‚ল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথা সময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে এবার আমন চাষের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। ফলে মাঠে দোল খাওয়া সবুজ ধানে নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি ক্ষেতে শীষ উকি দিচ্ছে। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। কৃষকরা মাঠে সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার ব্যবহারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৮ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বেশর ভাগ কৃষক ব্রিআর-১০, ব্রিআর-১১, ব্রিআর-২২, বিনা-৭, বিনা-১৭, ব্রি ধান ৯৪-৯৫ ও স্থানীয় ৩৪ ধান আবাদ করেছেন। এবারও রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন।
উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের সেবুল মিয়া, পরিমল দাশ, আব্দুল হাফিজসহ কয়েকজন কৃষক জানান, এ বছর আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। কোনো ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের তুলনায় এবার তারা ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন। ধান ক্ষেতে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। সরকার যদি ন্যায্য দাম দেয় তাহলে লাভবান হবে কৃষক।
ওসমানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উম্মে তামিমা বলেন, আমন ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।