কাজির বাজার ডেস্ক
ইতালিতে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে এখন থেকে দেশটিতে বসবাসরত প্রত্যেক বিদেশিকে বছরে দুই হাজার ইউরো ফি দিতে হবে। সোমবার এসংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ২০২৪ সালের জাতীয় বাজেটের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালির মন্ত্রিসভা। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ফি শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে আসা বিদেশিদের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে যাদের রেসিডেন্স পারমিট আছে, যারা বিদেশি শিক্ষার্থী এবং আউ পেয়ার, তাদের জন্য একটি অনির্দিষ্ট ছাড় থাকবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সংস্কারটি বর্তমান ব্যবস্থাকে কতটা পরিবর্তন করবে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। কারণ বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যেও কিছু নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির বিদেশিদের ফি দিতে হয়। সিজিল ট্রেড ইউনিয়নের জর্দানা পালোনে সংবাদমাধ্যম অ্যাডনক্রোনোসকে বলেন, ‘আইনটি কিভাবে লেখা হয় তা দেখার জন্য আমাদের এখন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এই কথা আজ বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের যে ব্যবস্থা ও প্রবিধান আছে সেগুলো বিবেচনায় নিলে এটির কোনো ভিত্তি নেই।’ ইতালিতে বসবাসরত বিদেশি কর্মী, চাকরিপ্রার্থী, আশ্রয়প্রার্থী ও অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্করা দেশটির নাগরিকদের মতো বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে আসছিল। তবে ক‚টনীতিক ও শিক্ষার্থীদের একটি নির্ধারিত ফি দিয়ে ইতালির স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে হতো।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে বছরে দিতে হতো ১৫০ ইউরো। আর অন্যদের ক্ষেত্রে এটি অবশ্য তাদের আয়ের ওপর নির্ভর করে ধার্য করা হয়। সে ক্ষেত্রে বার্ষিক ফি দুই হাজার ৮০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে।
গেল মাসে একজন আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন প্রক্রিয়াকালীন আটকাদেশ ঠেকাতে পাঁচ হাজার ইউরো জমা দেওয়ার বিধান যুক্ত একটি ডিক্রি জারি করে রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সরকার। তা নিয়ে অবশ্য বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ডানপন্থী সরকারকে।