মায়ের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে, পরিবারের জিম্মায় স্বামী মুক্ত

6

 

জামালগঞ্জ সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ পারিবারিক কলহের জেরে তিন সন্তানকে নিয়ে বিষপানের পর বেঁচে আছেন মা যমুনা আক্তার (২৭)। তবে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায় তার শিশু সন্তান তানজিদ, সাকিবা ও সাহেদের আগে রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে মিষ্টির সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে সন্তানদের খাওয়ানোর পর নিজে খান মা যমুনা।
ঘটনার পর পর স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সুনামগঞ্জে পরে সিলেটে চিকিৎসা দেওয়া হয় গৃহবধূ যমুনাকে। বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। তবে বেঁচে গিয়ে ফেঁসে গেছেন তিন সন্তানের জননী যমুনা আক্তার। স্ত্রী যমুনা বেঁচে যাওয়ায় আটক স্বামী জাহাঙ্গীরকে একদিন হেফাজতে রাখার পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে- যমুনা বেঁচে যান তাহলে তিন শিশু হত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। শিশুদের বাবা জাহাঙ্গীর হবেন মামলার বাদী। যদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় যমুনা মারা যান তাহলে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইতোমধ্যে মা যমুনাকে হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে নিজের তিন সন্তানকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হবেন এই মা।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যমুনার সঙ্গে থাকা তার ভাই রিজওয়ান জানান, রবিবার থেকে শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে হলেও আজকে বিকেল থেকে আইসিইউ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগের মতো পেটে জ্বালাপোড়া নেই, কিছুটা শ্বাসকষ্ট আছে।
জামালগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার দাস বলেন, ঘটনার পর মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় আমরা তার স্বামীকে আমাদের হেফাজতে নিই। যদি তার স্ত্রী মারা যেত তাহলে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হতো। তবে এখনো তিনি বেঁচে থাকায় স্বামীকে পরিবারের জিম্মায় ছাড়া হয়েছে। আমরা অপেক্ষায় আছি, চিকিৎসাধীন যমুনার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। রবিবার শারীরিক অবস্থা উন্নতি হলেও আজকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। যেহেতু মা নিজে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে তিনি তার তিন সন্তানদের বিষ খাইয়ে হত্যা করেছেন, তাই বেঁচে গেলে তিনি আসামি আর মারা গেলে তার স্বামী।