ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গলায় বাল্বের মালা দিয়ে পদযাত্রা

5

সিলেট মহানগরীতে মাত্রাতিরিক্ত ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মহানগরীর সুরমা মার্কেট পয়েন্ট থেকে শুরু করে কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা পয়েন্ট হয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১, আম্বখানা, সিলেট অফিস পর্যন্ত গলায় বাল্বের মালা দিয়ে পদযাত্রা করেন সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় যুব দিবস ২০১০ এ শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহের।
মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহের বলেন, সিলেট মহানগরীতে প্রায় এক মাস ধরে মাত্রাতিরিক্ত ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। একদিকে প্রচন্ড গরম আর অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিক্ষা চলছে। প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষ নাজেহাল, এরমধ্যে দিনে ও রাতে ২৪ ঘন্টায় প্রায়শই ১০/১২ বার বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং হয়। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে সবধরনের কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। প্রচন্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি মধ্যরাতেও হচ্ছে লোডশেডিং। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ। সিলেটে গড়ে পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সিলেটে গরমের সঙ্গে বাড়তি ভোগান্তির আরেক নাম লোডশেডিং। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে নারী-পুরুষ এবং শিশুরা বাসা থেকে বের হয়ে অলিতে গলিতে, বাসার দরজার সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন এবং হাত পাখা দিয়ে বাতাস করে কিছুটা স্বস্তির খোঁজ করছেন। তীব্র গরমে সর্বাধিক কষ্টের শিকার হচ্ছেন সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই দাবি নিয়ে মাঠে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহের। লোডশেডিংয়ের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরি। অন্যথায় সিলেটের জনসাধারণ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। বিজ্ঞপ্তি