ছাতক প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কালারুকা-কাজিহাটা (নোয়াগাঁও) গ্রামীণ সড়কটির বেহাল দশা। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন এলাকাবাসী। সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় এলজিইডির আওতাধীন এ সড়কটি চলাচলের উপযোগী রাখতে প্রতি বছরই স্বেচ্ছাশ্রমে ছোটখাট সংস্কার কাজ করছেন স্থানীয়রা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা কালারুকা ইউনিয়নের ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক থেকে একটি গ্রামীণ সড়ক সদর ইউনিয়নে কাজিহাটা (নোয়াগাঁও) গ্রামে গিয়ে মিলিত হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য ১৯৮২ সালে সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। এ সড়কটি কাজিহাটা (নোয়াগাঁও) গ্রামের বাসিন্দার পাশাপাশি কালারুকা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। সর্বশেষ এ সড়কটি সরকারিভাবে সংস্কার করা হয় ২০১০ সালে। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সংস্কার করে আসছেন। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে এ সড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সিএনজি চালিত অটোরিকশাও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙা সড়কের অনেক জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও সড়কে পাকা অংশের রড বেরিয়ে রয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তায় অনেককে যানবাহনের পরিবর্তে হেঁটে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
কাজিহাটা গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাদেক আহমদ ও সেলিম আহমদ বলেন, প্রতি বছর গ্রামের যুবকরা লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ইট-পাথর ও বালি ফেলে রাস্তার গর্তগুলো ভরাট করে আসছে। তবে এসব কাজ টেকসই হয় না। সড়কটি দ্রæত সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান তিনি।
কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, এ সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিকবার আলোচনা হয়েছে, কিন্তু বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সদর ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কার না হওয়া দুঃখজনক। সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে ইতোমধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রীর মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়েছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন বলেন, কালারুকা-কাজিহাটা (নোয়াগাঁও) গ্রামীণ সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কের প্রকল্প তৈরি করে এলজিইডির সদরদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে দরপত্রের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।