বিশ^নাথ সংবাদদাতা
বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগ। সোমবার রাতে পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, যুগ্ম-আহবায়ক আলতাব হোসেন ও মহব্বত আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ আছে, বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান বিগত কিছুদিন যাবৎ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার ও বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য ও বিবৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে কটাক্ক করে এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে আসিতেছেন। তাহার বক্তব্য ও বিবৃতিতে জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষক, আলীম সমাজ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আত্মসম্মান নিয়ে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাহার এহেন আচরন স্থানীয় আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে তাহার অন্যায় ও বেআইনী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়। অন্যথায় যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার তাকেই বহন করতে হবে বলে হুশিয়ারিও দেয়া হয়।
মেয়র মুহিবুর রহমানকে দলচ্যুট ও আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী একজন ব্যক্তি উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, জাতীয় পার্টির রাজনীতির মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে বিতর্কিত রাজনৈতিক জীবন শুরুর পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে আত্মরক্ষার্থে ২০০৪ সালে মুচলেখা দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করেছেন। দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় অওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কার আদেশ বহাল থাকাবস্থায় এখন পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা অপকৌশল করে যাচ্ছেন, যাতে আওয়ামী লীগের সহজ-সরল তৃণমূল নেতৃবৃন্দ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি তিনি বিএনপি জামাতের এজেন্ট হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে তারা উল্লেখ করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। জনগণের পক্ষে আমার অবস্থান ছিল আছে আগামীতেও থাকবে। অন্যায়, দূর্ণীতি করা হবে আর আমি কথা বলতে পারবো না এমন তো হতে পারে না। আমি যাকে চোর, বা দূর্ণীতিবাজ বলছি তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নিয়েই বলছি। আর তা জনগনকে জানাচ্ছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি বলেই জনগন আমার পক্ষে আছে। আমার বক্তব্য কোন চোর বা দূর্ণীতিবাজদের ঘায়ে লাগলে তাদের জন্য আইন আদালত খোলা আছে।