ভালো ফলের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে

9

 

চলতি বছর সব বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড়ে ৮০.৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। গত বছর এ হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ পাশের হার এবার ৭.০৫ শতাংশ কমেছে। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
এ ফলাফল দেখে প্রশ্ন উঠতেই পারে, শিক্ষার মান কমেছে কিনা? খবরে প্রকাশ, এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৪৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাশ করেনি। এ ছাড়া এবার শতভাগ পাশ করেছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৩৫৪, যা গতবার ছিল ২ হাজার ৯৭৫। ফলাফলে আরও দেখা গেছে, পাশের হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে আর সবচেয়ে কম বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে। এবার পাশের হার ও জিপিএ-৫ কেন হ্রাস পেল, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা নিশ্চয়ই তার মূল্যায়ন করবেন। কারণগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের জীবনে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ স্তর অতিক্রম করে তবেই শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার বৃহত্তর জগতে প্রবেশের সুযোগ পায়, যা ভবিষ্যৎ জীবন গঠন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।
ইতোমধ্যে মুখস্থ বিদ্যার ওপর শিক্ষার্থীদের নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে দেশে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নপত্র চালু হয়েছে। তবে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদানে সক্ষম যথেষ্টসংখ্যক শিক্ষক আদৌ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বর্তমানে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা অনেকটা কমেছে-এটা ঠিক; তবে এখনো দেশে নোট-গাইডবইয়ের দৌরাত্ম্য এবং কোচিং বাণিজ্যের সংস্কৃতি বন্ধ হয়নি। শিক্ষার মানোন্নয়নে নেতিবাচক বিষয়গুলো নিরসনে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এটাই কাম্য।
এবার যারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের সবার প্রতি রইল অভিনন্দন। যারা অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের হতাশ না হয়ে আগামী দিনে ভালো ফলের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।