কাজির বাজার ডেস্ক
সংক্রমণ ঠেকাতে বছরজুড়েই ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম চালাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম। তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই উষ্ণমÐলীয় অঞ্চলসমূহের মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের ডেঙ্গু চিকিৎসার গাইডলাইন তৈরি করা আছে। ডেঙ্গুর গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব, আমরা সেটা করছি। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যের ডিজি আরও বলেন, কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর এককভাবে কিছু করতে পারবে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো অনেক বড় একটা কাজ। যারা মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন, তাদের দায়িত্ব আরও অনেক বেশি বলে আমি মনে করি। সারাবছর এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা নিয়ে ছায়া সংসদ বিষয়ক ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. খুরশিদ আলম বলেন, বিগত বছরের পরিসংখ্যানগুলো থেকে আমরা দেখতে পাই, ডেঙ্গু কিন্তু সারাবছরই কমবেশি ছিল। শীতকালে এডিস মশার প্রকোপ কম থাকে, গরমে মশার প্রজনন বেশি হয়। জানুয়ারি মাসেও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল। গত বছর জুলাই মাসে আমাদের রিপোর্টেড কেস ছিল ১ হাজার ৭৭১ জন। এ বছর একই সময়ে তা অনেক বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, গত বুধবার পর্যন্ত আমরা দেখছি, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ, ডেঙ্গু সংক্রমণ একটি সময়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যায়, আবার তা কমেও আসে। তবে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদে প্রস্তাবের পক্ষে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং বিপক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা অংশ নেন।
‘নাগরিক সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বিপক্ষ দল এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা জয়ী হন।