জাতীয় ও আন্তর্জাতিক হিফজ ও ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সেরা ও বিশ্বজয়ী কোরাআনে হাফেজ ও ক্বারীগণকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে সিলেটে।
মঙ্গলবার ঐতিহ্যবাহী শহীদ সোলেমান হলে তাহফিজুল কোরআন সুন্নাহ মাদ্রাসা সিলেট শাখা এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে শ্রেষ্ঠ সাত জন হাফেজ ও ক্বারীকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধিত হাফেজ ও ক্বারিদের মধ্যে রয়েছেন ক্বারি হাবিব উল্যাহ বেলালী, ক্বারি নাজমুল হাসান, বিশ্বজয়ী হাফিজ জাকারিয়া, হাফিজ আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফিজ নাঈমুল হক সাদি, হাফিজ মোহাম্মদ উল্লাহ মাইমুন, হাফিজ আকমল হোসেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিলেটে বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক সহ বিশিষ্টজনরা অংশগ্রহণ করেন।
তাহফিজুল কোরআন সুন্নাহ মাদ্রাসা সিলেট শাখার পরিচালক হাফিজ অলিউর রহমান খান এর সভাপতিত্বে ও আলী হোসেন খান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, স্যার গোলাম মাহমুদ, হাফিজ মাওলানা আহমদ মাহফুজ আদনান, মাওলানা রুহুল আমিন নগরী, মাওলানা ইবাদুর রহমান, মাওলানা ইয়াহিয়া হামিদি ও হাফিজ আব্দুল করিম হেলালী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, পবিত্র ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে আল কুরআন। এই পবিত্র কুরআনকে বিশুদ্ধভাবে, সুললিত কন্ঠে তিলাওয়াতের মাধ্যমে বাংলাদেশের হাফিজ ও ক্বারীগণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মর্যাদা অর্জন করছেন। বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাকে আরো মহিমান্বিত করে তুলেছেন। তারা বলেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৮২ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের হাফিজ জাকারিয়া প্রথম ও হাফিজ আবদুল্লাহ আল মামুন তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। যা আমাদের দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে।
বক্তাগণ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের খেলাধূলা বা অন্য কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় কিছু করলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সংবর্ধনা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের হাফিজ ও ক্বারীদের এত বড় অর্জনের পর কেউ নূন্যতম সম্মানটুকু জানায়নি, যা দুঃখজনক, বেদনাদায়ক। বাংলাদেশের যে সকল হাফিজ ও ক্বারীগণ আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সম্মান ও গৌরব বয়ে নিয়ে এসেছেন তাদেরকে সব ধরণের পৃষ্ঠপোষকতাসহ যথাযথ মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানান। তারা বলেন, প্রতিভার লালন পালন না করলে প্রতিভাবান জন্মাবেনা। তাই এদেরকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা খুব প্রয়োজন। তারা বলেন, বাংলাদেশ আজ সকল দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তার আরেকটি সংযোজন হচ্ছে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৮২ টি দেশের মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় স্থান অর্জন করা।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হাফিজ ও ক্বারীগণ তাদের সুললিত কন্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাদের সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি