ভোট কাস্টের ওপর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নির্ভর করে না : সুনামগঞ্জে ইসি আনিছুর

2

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

ভোট কাস্টের ওপর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নির্ভর করে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট কাস্ট হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বলা যায় আইনে সেটা কোথাও লেখা নেই। ভোটার যত পার্সেন্টই হোক না কেন আমরা ফলাফল সেটাই দেব। আগেও এভাবে ফলাফল দিয়েছি।
রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি হাসনরাজা মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন। সভায় সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী প্রার্থীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘যারা বলছেন দেশে পাতানো নির্বাচন হবে, তারা অহেতুক বলছেন। কারণ আমরা এক বছর ১০ মাস ধরে আছি। কোনো দলীয় চাপ অনুভব করছি না। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করছি। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ করাই প্রধান কাজ।’ বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি পক্ষ ভোটে অংশগ্রহণ করেনি।
ভোটে অংশগ্রহণ না করার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অধিকার তাদের নেই।
ভোটদানে বাধা দেওয়ার আইন প্রসঙ্গে আনিছুর রহমান বলেন, ‘আইনে পরিষ্কার বলা আছে এ ধরনের কাজ অপরাধ। আইনে অপরাধের শাস্তির কথাও পরিষ্কারভাবে বলা আছে। এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় ব্যবস্থাও নিচ্ছে।’
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা; এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী সেলিম আহমেদ প্রমুখ। সভায় জাতীয় পার্টি প্রার্থী অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গসহ নানা অভিযোগ আনেন।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তাও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারসহ নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান প্রার্থীদের লিখিতভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর জন্য বলেছেন।