শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেছেন, শান্তির জনপদে মারামারি ও খুনাখুনি এটা মেনে নেয়া যায় না। হাসনাবাদ গ্রামে কাঠাল নিয়ে সংঘর্ষে তিন জন লোক প্রাণ হারিয়েছেন। কাঁঠাল তো উপলক্ষ মাত্র। এঘটনার আড়ালে যে বা যারা আছে তাদেরকে তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আপনারা জেনেছেন ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ার সময়ও বিমান থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। যারা নিহত হয়েছেন তাহারা খুই অসহায়, হয়তো বা দিন মজুর। থানা পুলিশ হাসনাবাদ গ্রামের এক গোষ্ঠির দল নেতা দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। অপর গোষ্ঠির দল নেতা মালদার পালিয়ে আছে। তাকেও পুলিশ শিগগিরই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধী দেশে হউক বা বিদেশে হউক। কেউ পালিয়ে যেতে পারবে না। আইনশৃংখলার স্বাভাবিক গতি কেউ ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি সোমবার দুপুর সাড়ে ১১ টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার বগুলারকাড়া (আলমপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজনে হাসনাবাদে কাঁঠাল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আইন শৃংঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন।
ডিআইজি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের সমাজে কিছু লোক আছে। যারা সমাজে ভাল মানুষের মুখোশের আড়ালে সমাজের শান্তি বিনষ্ট করে, মারামারি লাগিয়ে রাখতে চায়। পাশপাশি যে সকল ব্যক্তি সুদখোর, ঘুষখোর, জুয়াখোর, মাদক কারবারী, সমাজের চোখে অপরাধী এবং সমাজে খারাপ কাজ করে বেড়ায় তাদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করতে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি। পাশপাশি এসকল লোকদের তালিকা মসজিদে, মন্দিরে, আওয়ামী লীগ সহ সকল দলী নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে দিয়ে এদেরকে চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে। যাতে করে এরা সমাজের শান্তিশৃংখলা বিনষ্ট ও সমাজের ক্ষতি করতে না পারে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুভাশীষ ধর এর পরিচালনায় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. খালেদ আহমদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজুন কুমার দাস, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ জামান।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আবুল কালাম, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রাণী তালুকদার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিতাংশু শেধর ধর, সাধারণ সম্পাদক ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হাসনাত হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রাণী তালুকদার, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাছিত সুজন সহ প্রমুখ। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আনোয়ার হোসাইন ও গীতা পাঠ করেন সেবায়েত পরিতোষ দাস।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া, শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিক খাঁন, শালিস ব্যক্তিত্ব নুর আহমদ, নোয়াখালী বাজার বাজার কমিটির সভাপতি রুজনুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুর হরমান কুবাদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রয়েল আহমদ সহ প্রমুখ।