বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর
তাহিরপুরে আবারো বেড়েছে পাহাড়ি ঢলের পানি। ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। পানি উঠে পড়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় আঙ্গিনা ও শ্রেণি কক্ষের ভেতর। শিক্ষার্থীরা পানি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে আসলেও পাঠদান করাতে পারছেন না শিক্ষক শিক্ষিকারা।
উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় আনন্দ নগর। বৌলাই নদী ও পাঠলাই নদীর মোহনায় আনন্দ নগর গ্রামের সামনে বিদ্যালয়টি অবস্থান। ভারী বৃষ্টিপাতে হাওরের পানি বেড়ে ও শনি হাওরের দক্ষিণা বাতাসে সৃষ্ট ঢেউয়ের পানি বিদ্যালয় ভবনের ভেতর উঠে পড়ে। গত দ’ুদিন ধরে পানিবন্ধি অবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা বিদ্যালয় চলাকালীন সময় পর্যন্ত অবস্থান করেন। বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষিকা মাম্পি চৌধুরী বলেন, ক্লাস রুমের ভেতর পানি থাকায় দু চারজন শিক্ষার্থী আসলেও আমরা পাঠদান করাতে পারছি না। একই অবস্থার কথা জানালেন তাহিরপুর সদর লক্ষীপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমর ভৌমিক, তিনি জানান, গত ১৫দিন আগে হাওরে যখন বন্যা শুরু হয় তখন থেকেই বিদ্যালয় ভবন পানিতে নিমজ্জিত। বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী আসতে পারছে না। বিষয়টি তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
একই অবস্থায় রয়েছে বাদাঘাট ইউনিয়নের ইসলাম, পিরিজপুর, দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের আমবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অপরদিকে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়ক ও তাহিরপুর বাদাঘাট সড়ক পানিতে নিমজ্জিত থাকার কারণে জেলা সদরেরর সাথে ও উপজেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। সুলেমানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কেচ ম্যাপ এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্র অভিবাবক আলমগীর হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের ভেতর পানি, ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে সাহস পাচ্ছি না।
ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক দেবব্রত সরকার দেবল বলেন, যাদুকাটা নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি নামলেই বিদ্যালয় আঙ্গিনা পর্যন্ত চলে আসে। কখনো কখনো এ পানি শ্রেণি কক্ষেও প্রবেশকরে।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামন বলেন, অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকার দু চারটি বিদ্যালয়ে আঙ্গিানায় পানি উঠার বিষয়টি শিক্ষরা আমাকে জানিয়েছেন। এর মধ্যে আনন্দ নগর ও লক্ষীপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে ঢলের পানি প্রবেশ করেছে বলেও তিনি জানান।