কাজির বাজার ডেস্ক
এখনো গণনা চলছে। তবে যে পর্যন্ত গণনা হয়েছে তাতে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ২ দিনে প্রায় ৩০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। এখনো থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা প্রতিফলিত হয়েছে, গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের তিনটি স্তরের সবগুলোতেই বড় ধরনের জয় পেয়েছে দলটি।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। এ নির্বাচনে গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের তিনটি স্তরের ৭৪ হাজারেরও বেশি আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হয়।
সোমবার নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে, এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। গোলযোগ ও বিভিন্ন অভিযোগের কারণে ৬৯৬টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়। পরে কিছু সময় পর ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৬৩ হাজার ২২৯ আসনের মধ্যে ৪২ হজার ১২২টিতে, পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ৭৩০ আসনের মধ্যে ৫ হাজার ২৬৩টিতে এবং জেলা পরিষদের ৯২৮ আসনের মধ্যে ৫২৬টিতে জয় পেয়েছে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি অনেকটা পেছনে থেকে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। তারা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯ হাজার ৩০৭টিতে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৫৭২টিতে এবং জেলা পরিষদের ১৫টি আসনে জয় পেয়েছে। এক ফেসবুক পোস্টে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলদলীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, গ্রামবাংলায় তৃণমূলের জয়জয়কার। তৃণমূলের প্রতি জনগণের ভালোবাসা, আবেগ ও সমর্থনের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই রাজ্যের জনগণের হৃদয়ে শুধু তৃণমূল, এ নির্বাচন তা প্রমাণ করেছে। গণনাকেন্দ্রগুলোতে বিরোধীদলীয় পরিদর্শকদের প্রবেশে বাধা দিয়ে ক্ষমতাসীন তৃণমূল ‘ভোট লুট করার বেপরোয়া চেষ্টা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দল বিজেপি।
অন্যদিকে তৃণমূল দাবি করেছে, নির্বাচন চলাকালে সহিংসতায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের ৬০ শতাংশ হয় তাদের কর্মী বা তাদের সমর্থক।
এসব সত্তে¡ও দল জয় পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিরোধীদের ‘মমতাকে ভোট নয়’কে ‘মমতার জন্য ভোট’ প্রচারণায় পরিণত করায় জনগণের কাছে (আমরা) কৃতজ্ঞ।