জ্বালানি তেল কিনতে বাংলাদেশকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে আইটিএফসি

6

 

কাজির বাজার ডেস্ক

অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সহযোগী সংস্থা জেদ্দাভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) কাছ থেকে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি জেদ্দায় স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ আইটিএফসির ওই ঋণ পাচ্ছে বলে রোববার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও আইটিএফসির মাঝে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের এই পরিকল্পনা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির জন্য অপরিশোধিত তেল আমদানির পথ মসৃণ করতে সহায়তা করবে। চলতি মাসেই এই চুক্তি কার্যকর হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের বন্দর নগরীতে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সাম্প্রতিক সফরের সময় জেদ্দাভিত্তিক আইটিএফসির সাথে জ্বালানি আমদানি ও বিপণন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ওই চুক্তি হয়েছে।
বিপিসির অর্থবিভাগের পরিচালক কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক আরব নিউজকে বলেছেন, ‘এই অর্থায়ন চুক্তির আওতায় আমরা আইটিএফসির কাছ থেকে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেব। অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।’
এর আগেও আইটিএফসির সাথে বাংলাদেশ একই ধরনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। কাজী মোজাম্মেল বলেছেন, এবারের অর্থায়ন চুক্তিটি চলতি জুলাই থেকে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) একটি সহযোগী সংস্থা। মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম এই উন্নয়ন সংস্থার সদরদপ্তর সৌদি বন্দরনগরী জেদ্দায় অবস্থিত।
কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রতি মাসে প্রায় এক লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করে বাংলাদেশ। যার বেশিরভাগই সৌদির আরামকো এবং আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএনওসি) থেকে আসে। আর এই দুই কোম্পানির সাথে আইটিএফসির সম্পর্ক রয়েছে।
‘আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক। কারণ সৌদি আরামকো এবং এডিএনওসি-ও এই ঋণদাতা সংস্থাটির ওপর নির্ভরশীল। এর ফলে আমাদের অপরিশোধিত তেল আমদানির সমস্যাও কেটে গেছে।’
আইটিএফসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইটিএফসি ২০০৮ সাল থেকে জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশকে ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ দিয়েছে। সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তার প্রতিশ্রæতির অংশ হিসাবে এই ধরনের চুক্তি হয়।
‘উভয়পক্ষ অর্থায়নের শর্তে রাজি হওয়ায় অনুমোদিত অর্থ দক্ষিণ এশিয়ার দ্রæত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। উভয়পক্ষের দীর্ঘস্থায়ী সফল অংশীদারত্বের একটি প্রমাণ এই চুক্তি।’