তাহিরপুর সংবাদদাতা
তাহিরপুর উপজেলার অন্যতম পর্যটন স্পট জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ নীল জলের টাঙ্গুয়ার হাওড়। ওয়ার্ল্ড রামসার হেরিটেজ সাইট ও মাদার ফিশারিজ-খ্যাত দেশের দ্বিতীয় মিঠাপানির জলাভ‚মি হিসেবে পরিচিত বিশাল এ হাওড়টি। ঈদের ছুটিতে বেড়ানোর জন্য মনোমুগ্ধকর স্থান হাওড়বেষ্টিত এই ভাটির জনপদ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি টাঙ্গুয়ার হাওড়কে নীল ও স্বচ্ছ জলের স্বর্গরাজ্য বলা হয়। হেমন্ত ও বর্ষা দুই মৌসুমে দুই রকমের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় হাওড়টিতে। পর্যটকদের মতে, এ হাওড়ের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় বর্ষাকালেই।
সারি সারি হিজল-করচ, নলখাগড়া ও চইল্যা বনের বিশাল সমারোহ। গাছ, মাছ, পাখি এবং শতাধিক প্রজাতির জলজ প্রাণীর অভয়াশ্রম এই টাঙ্গুয়ার হাওড়। বর্ষা মৌসুমে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ মিঠাপানির এ হাওড়ের আয়তন প্রায় ২০ হাজার হেক্টর। যতদূর চোখ যাবে দেখা যাবে পানি আর পানি এবং হিজল করচের মনোমুগ্ধকর সবুজের হাতছানি। হাওড়ের নীলাভ ও স্বচ্ছ পানিতে তাকালে দেখা মিলবে নানা প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ ও লতাগুল্মের। হাওড়ের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে আপনি ভারতের মেঘালয় খাসিয়া পাহাড় ও টাঙ্গুয়ার হাওরের চারদিকের রূপবৈচিত্র্য দেখতে পাবেন।
ছুটির দিন শুক্রবারসহ বর্ষা মৌসুমে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ২০-৩০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছুটে বেড়ায়। হাওড়ের ভেতরে রয়েছে ছোট ছোট নৌকা। এসব নৌকা দিয়ে হাওড়ের ভেতরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
শুক্রবার বিকালে সরেজমিন হাওড়ে গিয়ে কথা হয় রাজধানী ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সাকির আহমেদের সঙ্গে। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, হাওড়ের অপরূপ সৌন্দর্যের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখেছি। তবে সরাসরি এসে অন্যরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভ‚মি দেখলাম। সত্যি নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতাম না এ হাওড়ের রূপবৈচিত্র্য এত সুন্দর।