স্টাফ রিপোর্টার
আষাঢ় মাসের আজ প্রথম দিন। এর ঠিক আগের দিন বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন সিলেট মহানগরীর বাসিন্দারা। সড়কে উপচে পানি ঢুকে পড়েছে মানুষের বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এতে নগরবাসী রয়েছেন চরম দুর্ভোগে। বুধবার ভোররাতের টানা কয়েক ঘণ্টার ভারী বর্ষণে জলমগ্ন হয় নগরীর নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টির ফলে নগরীর মুন্সিপাড়া, কেওয়াপাড়া, কাজলশাহ, পশ্চিম কাজলশাহ, দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই, রেলগেইট, মিরের ময়দান, পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, সুবিদবাজার, জালালাবাদ, হযরত শাহজালাল (র.) মাজার এলাকার পায়রা ও রাজারগল্লি, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, ছড়ারপাড়, তালতলাসহ বেশ কিছু এলাকার সড়ক তলিয়ে যায়। অনেক এলাকায় সড়কে হাঁটুপানি দেখা গেছে। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়ে মানুষের বাসা-বাড়িতে। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়ে পানি। এদিকে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত পানি অনেকের বাসা-বাড়িতে ঢুকেছে। সকাল ৬ থেকে ৯টা পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে সড়কে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। আর বাসাবাড়িতে আটকা পড়েন বাসিন্দারা। আবহাওয়া অফিস বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এ পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। আর সিলেট সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলরা বলছেন বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন কাজ আটকে থাকার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে এমনটা হচ্ছে।
এছাড়া দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই, রেলগেইট এলাকায় সড়কে হাঁটু পানি জমে থাকায় যাতায়াত করতে পারেননি পথচারীরা। যানচলাচলেও বাঁধা সৃষ্টি হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ড মিরের ময়াদন এলাকার বাসা-বাড়ির সামনে পানি থৈ থৈ করছে। এতে করে বাসা থেকে বের হতে পারেননি বাসা-বাড়ির বাসিন্দারা। তারা শঙ্কায় রয়েছেন যেকোনো সময় বাসায় পানিতে উঠতে পারে।
বেসরকারি চাকরিজীবি আলা উদ্দিন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে নোংরা পানিতে শরীর ও কাপড় ভিজে গেছে। এছাড়া নোংরা পানিতে ভিজে অফিসে গিয়েও চরম অস্বস্তিতে থাকতে হয়।
নগরীর জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা আমিন বলেন, রাতে ঘুমাবার আগে তো সব কিছু ঠিক ছিলো কিন্তু সকালে দেখি বাসার সামনে পানি আর পানি। আমরা থাকি বাসার নিচতলায়। বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক। আজও ঘরের কিছু অংশে পানি ডুকেছে। জিনিসপত্র নিয়ে টানাটানি করতে করতে আমরা হয়রান।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। তাছাড়া আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে। কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানান, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৪৬ দশমিক ৪ মিলিটার।