জকিগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৩ জন খালাস

10

 

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের জকিগঞ্জে একটি মাদক মামলায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অপর ৩ আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক মোঃ আক্তার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ সালেহ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম- হারুন আহমদ সুমন (২৩)। সে জকিগঞ্জ থানার উত্তরকুল কাজিরপাড়ার রইছ আলীর ছেলে। অপর খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, জালালাবাদ থানার কান্দিগাঁও বাঘারপাড়ের ইছবর আলীর ছেলে আব্দুল মালিক (৩৭), জকিগঞ্জ থানার খাসিরচক গ্রামের মৃত মফু মেম্বার উরফে আব্দুর শুকুর মেম্বারের ছেলে বাবুল (২০) ও দক্ষিণ সুরমা থানার ইনাত আলীপুর গ্রামের মৃত আজম খাঁনের ছেলে বোরহান খাঁন (২০)। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১০ টার দিকে জকিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের বারঠাকুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী হারুন আহমদ সুমনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে জাল দিয়ে পেছানো ৪টি কার্টুনে ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা দামের ১৮৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার ও জব্দ করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত হারুন আহমদ সুমন ঘটনার কথা স্বীকার করে জড়িত আসামী বাবুল, বোরহান খাঁন ও আব্দুল মালিকদের নাম প্রকাশ করে। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানার পিএসআই মিন্টু দে বাদী হয়ে ধৃত হারুন আহমদ সুমনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জনকে আসামী করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১ (০১-০৫-২০১০)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২১ মে জকিগঞ্জ থানার এসআই আখতার হোসেন ৪ আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র-৪৩) দাখিল করেন এবং একই বছরের ১৬ আগষ্ট থেকে আদালত এ মামলার বিচারকার্য্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রবিবার আদালত আসামী হারুন আহমদ সুমনকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর টেবিল৩ (খ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড এবং অপর আসামী বাবুল, বোরহান খাঁন ও আব্দুল মালিকদের বিরুদ্ধে আদালতে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ও আসামীপক্ষে অ্যাডভোকেট আলী মর্তুজা কিবরিয়া এবং অ্যাডভোকেট মোঃ আবু সিদ্দিকী মামলাটি পরিচলানা করেন।