3

১৫ দিনের ব্যবধানে তাহিরপুরে কাঁচা মালের দাম বেড়েছে দ্বিগুন

বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর

গত ১৫ দিনের ব্যবধানে তাহিরপুরে কাঁচা মালের দাম বেড়েছে দ্বিগুন। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেল, ডাল, চিনি সয়াবিন সহ নিত্য প্রয়োজণীয় দ্রব্যের দাম। বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতা। হাওর বেষ্ঠিত উপজেলা তাহিরপুর। উপজেলার অধিকাংশ গ্রামের মানুষ বর্ষায় অনেকটা কর্মহীন হয়ে পরেন। তখন কোন কাজ কর্ম থাকে না। ধান বিক্রি করে কিংবা হাওরে মাছ ধরে অনেক পরিবার জীবনপাত করেন। এ অবস্থায় প্রতিদিন নিত্যপন্য দ্রব্য সহ কাচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। ব্যাবসায়ীরা বলছেন আমদনী সহ পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরও দাম দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরজমিন তাহিরপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেয়াজ ৮০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা, মরিচ ১৬০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, আদা ২৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঝিংগা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ বা ১৫ দিনে পূর্বে পেয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ৭০ টাকা, মরিচ ৬০টাকা, আলু ৩৫টাকা, আদা ১২০ টাক, বেগুন ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঝিংগা ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশী মাছরে দাম, ছোট দেশী টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪শ টাকা, বোয়াল মাছ ১হাজার টাকা, ঘনিয়া ৪শ টাকা, বাইম মাছ ৮শ টাকা। দিন দিন বাড়ছে চাষকৃত মাছ পাংগাস, কই তেলাপিয়া, শিং, মাগুর সহ সকল মাছের দাম।
দিন দিন নিত্যপন্য দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ^াস উঠছে মধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবৃত্ত পরিবারের উপর। মাছ ব্যবাসায়ীরা বলছেন চাষকৃত মাছের খাদ্য দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা একটু বেশি দামে মাছ কিনছেন। ফলে স্থানীয় বাজারেও এর প্রভা পড়েছে।
তাহিরপুর সদর বাজারে বাজার করতে আসা জামালগড় গ্রামের সজল বর্মন বলেন, মাস ছয়েক আগেও ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পরিবারের মাসের বাজার চলে যেত কোন রকম। এখন ৬ হাজার টাকাতেও পোষাতে পারছি না, সকল প্রকার জিনিসের দাম শুধু বেড়েইে যাচ্ছে। তাহিরপুর সদর বাজার কম্পিউটার ব্যাবসায়ী সুমন মালাকার বলেন, প্রতিদিন দ্রব্য পন্যের দাম বাড়ছে। গতকাল পেয়াজ কিনেছি ৭০ টাকা করে আজ বাজারে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এভাবে দাম বাড়ালে চলা মুশকিল হয়ে যাবে।
জয়নগর গ্রামের কৃষক শামছুজ্জামন বলেন, বাজারে কাচা মাল সহ তেল ডাল আলুর দাম যে ভাবে বাড়াে ধান বিক্রি করে কোন রকম দু চার মাস চলা যাবে।
শুধু মধ্যবিত্ত কৃষক কিংবা খেটে খাওয়া মানুষ নন, বিপাকে পড়ছেন অনেক সরকারী, বেসরকারী সংস্থাতে চাকুরীরত লোকজনও।
তাহিরপুর লামাবাজর বেলায়েত স্টোর এ বাজার করেত আসা শিক্ষক মধূসুদন দত্ত বলেন, বেতনের টাকায় মাসের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেই সাথে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া খরচ মিঠাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি।
তাহিরপুর বাজার ব্যাবসায়ী ও পাইকারী বিক্রেতা সমীরণ রায় বলেন, সব কিছুই আগের থেকে একটু বেশী দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ফলে গ্রামীন বাজারেও এর প্রভাব পরেছে। আড়তে দাম কমলে আমরা ইচ্ছে করলেই বেশী দামে বিক্রি করতে পারি না বলেও তিনি জানান।