রাস্তা সংস্কারের নামে বেআইনিভাবে বৃক্ষনিধন করছেন বিশ্বনাথের পৌর মেয়র

12

সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

বিশ্বনাথে রাস্তা সংস্কার কাজের নামে বেআইনিভাবে এক প্রবাসীর গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিশ্বনাথ পৌরসভার জানাইয়া দক্ষিন মসুলা গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী শামছুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে শামছুল বলেন সম্প্রতি দেশে এসেছি এলাকার মানুষের সুবিধার্তে একটি তিনতলা মসজিদ নির্মাণের জন্য। কিন্তু দেশে একটি দুষ্টচক্র বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানকে দিয়ে তার ও পরিবারের সুনাম নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিশ্বনাথ পৌরসভার জানাইয়া দক্ষিণ মসুল গ্রামে তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি ও রামপাশা রোড ও বিশ্বনাথ হাবড়াবাজার মিরের চক সড়কের চৌমুহনীতে তাঁর পিতা সাজিদ উল্লাহর নামে ‘সাজিদ উল্লাহ মার্কেট’ রয়েছে। মার্কেটের সামনে খালি জায়গায় ৬টি বিশাল আকারের রেন্ট্রি গাছ ছিলো। সম্প্রতি রাস্তা সংস্কার কাজের নামে ওই অর্ধশতাব্দিকালের পুরনো ৬টি রেন্ট্রি গাছ কেটে ফেলতে তাঁকে মৌখিক নির্দেশনা দেন বিশ্বনাথের মেয়র মুহিবুর রহমান। এর প্রেক্ষিতে তিনি তাঁর জমির পাশের সরকারি রাস্তার ভ‚মি চিহ্নিত করণের জন্য গত ২৭ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনে সরকারি সার্ভেয়ার নিয়োগের অনুরোধ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সার্বিক বিষয় সর্ম্পকে অবগত করেন। শামছুল অভিযোগ করে বলেন- ওই আবেদনের সুরাহা হওয়ার আগেই গত ১৪ই মে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তিনজন শ্রমিক গাছ কাটা শুরু করে ও তিনটি গাছ কেটে ফেলে। দুপুর ১২ টায় চতুর্থ গাছ কাটতে গেলে তিনি শ্রমিকদের বাধা দেন। এ সময় শ্রমিকরা জানায়; বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে।
এ সময় তিনি বিশ্বনাথ থানা পুলিশের দ্বারস্থ হলে তারা গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিক কাদিপুর গ্রামের আব্দুল কালাম, রামপাশা গ্রামের রনি মিয়া ও শুকুর আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় পৌরসভার কাউন্সিলর রফিক ও ফজর আলী গিয়ে ওই তিন শ্রমিককে তাদের জিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। সেটি সাধারন ডায়েরি হিসেবে পুলিশ গ্রহণ করে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয় – অনেক আশা ভরসা নিয়ে মেয়র হিসেবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানকে মানুষ বিশ্বাস করেছে। এখন মেয়র মুহিবুর রহমানই আইনের তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো আইনি বৈধতা ছাড়াই অর্ধশতাব্দির প্রাচীন তিনটি রেন্ট্রিগাছ তিনি নির্দেশ দিয়ে কেটে ফেলেছেন। এর প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন প্রবাসী মো. শামছুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে কেটে ফেলা গাছের মুল্য ৭০ হাজার টাকা দাবি করে তিনি একজন প্রবাসী হিসেবে মেয়র মুহিবুর রহমানের ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিকার এবং বিচার দাবি করেন।
তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করেন। গাছ কাটার অপরাধে মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।